মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে পাল্টা প্রহারের জন্য তৈরি ইউক্রেনও— তাদের সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সীমান্ত এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা টহল কপালে ভাঁজ ফেলেছে পশ্চিমা দেশগুলোরও।
উত্তেজনার পরিস্থিতি এড়াতে রাশিয়া বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেন বলে এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ দিকে জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার যদি সত্যি ইউক্রেনের উপর হামলার কোনও অভিসন্ধি না থাকে, তা হলে তা নিয়ে যেন প্রকাশ্যে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জেলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংঘর্ষ অবধারিত বলেই তার মনে হচ্ছে। তবে রাশিয়ার সামরিক শক্তির রক্তচক্ষুকে যে তারা ভয় করেন না, তা-ও বার বার তুলে ধরেছেন তিনি। জেলেনস্কির হুঙ্কার, ‘‘মস্কো যদি সীমান্তের এ পারে সেনা ঢোকায় তা হলে কিয়েভের শক্তিশালী বাহিনী তাদের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত।”
সম্প্রতি ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতরের প্রধান কিরিলো বুদানভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৯২ হাজার রুশ সেনা ঘাঁটি গেড়েছে। জানুয়ারি বা খুব বেশি হলে ফেব্রুয়ারিতেই তারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও দাবি করেছেন, মাটিতে শুধু নয়, আকাশপথেও হানা দিতে পারে রুশ বাহিনী।ইউক্রেন-রাশিয়ার এই টানাপড়েন নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলিও। নেটোর প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গের সতর্কবাণী, ‘‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পেশিশক্তির প্রদর্শন করলে রাশিয়াকে তার দাম দিতে হবে, পরিণতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে হবে।” আগামী সপ্তাহে লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় নেটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্টোলেনবার্গ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তো বটেই, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ক্যারেন ডনফ্রায়েডও। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করুক তা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন।” একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব দিকই খোলা রাখা হয়েছে। এখন আমরা যেটা করছি তা হল সীমান্ত অঞ্চলটির উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি চালাচ্ছি।
পাশাপাশি রাশিয়াকে কী ভাবে রোখা যায় তা নিয়ে আমাদের সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।” ইউক্রেনের ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ রক্ষার পক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটিয়াস মোরাউইকিও। যদিও সামরিক উপদ্রবের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মস্কোর দাবি, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করে এ ধরনের উত্তেজনার জল্পনা বাড়াচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।