যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
কাচা হোক বা পাকা হোক পেঁপে হলো সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটা ফল। ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে পেঁপেতে। এখন সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়। কাচা বা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেঁপে। পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কম বেশি জানা আছে।
সকালে বা সকাল আর দুপুরের খাবারের বিরতিতে পেঁপে খেতে পারেন। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে পেঁপে সেই সাথে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেঁপে শরীরের জন্য অনেক বেশি ভালো হলেও কয়েকজনের ক্ষেত্রে পেঁপে ক্ষতিকর হতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের ক্ষেত্রে পেঁপে খাওয়া ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
গর্ভবতী নারী:
শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও গর্ভবতী নারীর সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে পেঁপে এমন একটি ফল যা এ সময়ে বাদ দেওয়া উচিত। মিষ্টি ফলের মধ্যে ল্যাটেক্স থাকে যা জরায়ুকে সংকোচন করতে পারে আর যার ফলে ঘন ঘন প্রসাব হয়। পেঁপেকে যে প্যাপেইন রয়েছে তা ঝিল্লিকে দুর্বল করে দিতে পারে। এছাড়া পেঁপের বীজ,পাতা,শিকড় গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আধা-পাকা পেঁপেতে এ সমস্যা হয়।
বুক ধড়ফড়:
পেঁপে খাওয়া হার্ট সংক্রান্ত অসুখের ঝুঁকি কমাতে পারে, তবে আপনি যদি এরইমধ্যেই অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে পেঁপে এড়িয়ে যাওয়া ভালো। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে পেঁপেতে অল্প পরিমাণে সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড, অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা মানুষের পাচনতন্ত্রে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি করতে পারে। যদিও উত্পাদিত যৌগের পরিমাণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে এর অতিরিক্ত মাত্রায় হৃদস্পন্দনের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের উপসর্গ আরও খারাপ করে দিতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপরও এটি একই প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা:
অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও পেঁপে থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এটি ঘটে কারণ পেঁপেতে কাইটিনেস নামক এনজাইম থাকে। এনজাইম ল্যাটেক্স এবং এ জাতীয় খাবারের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। যার ফলে হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং চোখ পানি আসে। অনেকের আবার পেঁপের গন্ধেও সমস্যা হতে পারে।
কিডনিতে পাথর:
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে পেঁপেতে। তবে ভিটামিন সি অধিক পরিমাণে গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ভিটামিন সি অত্যধিক গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এমনকি এটি পাথরের আকার বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর এতে করে প্রসাবে সমস্যা তৈরি হয়।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য পেঁপে একটি উপযুক্ত ফল মনে করা হয় কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু যারা এরইমধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।কারণ মিষ্টি জাতীয় ফলে অ্যান্টি-হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ-হ্রাসকারী প্রভাব রয়েছে। এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে বিপজ্জনক স্তরে নিয়ে যেতে পারে, যার ফলে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা, এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।