মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই টিকার কার্যকরিতা নিয়ে সন্তুষ্ট তারা। কিন্তু, সম্প্রতি একটি ‘রিয়েল ওয়ার্ল্ড স্টাডি’-তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এই গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মাত্র ৫০ শতাংশ কার্যকরি কোভ্যাক্সিন।
সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (দিল্লি) একটি গবেষণা করে। ভারত বায়োটেকের গবেষণায় উঠে আসা কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার হার ছিল ৭৭.৮ শতাংশ। কিন্তু, এইমস’র গবেষকদের তথ্য বলছে বাস্তব জীবনে টিকার কার্যকরিতা এই পরিসংখ্যার থেকে অনেক কম। এইমস’র ওই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন, ২ হাজার ৭১৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী। যাদের দেহে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা গিয়েছিল এবং যারা আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করেছিলেন, তাদের থেকে এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা গিয়েছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া এই স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে ১ হাজার ৬১৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং ১ হাজার ৯৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে প্রথম দেশে টিকাকরণ শুরু হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিন গ্রহণ করার দুই সপ্তাহ বা আরও বেশ সময় পার হওয়ার পরেও টিকা গ্রাহকদের দেহে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ৭৭.৮ শতাংশ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। এই গবেষণাটি ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের কথায়, এই গবেষণাটির জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রবণতা অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে হয়ত টিকার আসল কার্যকারিতা এক্ষেত্রে দুর্বল হয়েছে।
এইমস’র প্রফেসর মনীশ সোনেজা বলেন, 'কোভ্যাক্সিন কীভাবে কাজ করে তা জানার জন্য আমাদের এই গবেষণা।' উল্লেখ্য, একাধিক গবেষণায় জানা গিয়েছে প্রায় সমস্ত মান্যতা পাওয়া করোনা টিকাগুলিই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকরী। উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়ার আগে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট প্যানেল এরপরেই নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে এই টিকাটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কতটা কমে যায় বা তাদের মৃত্যুই বা কতটা কমে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেননি এইমস’র গবেষকরা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।