নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের নৈতিক জয় হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি। সোমবারের ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। তেমন বড় স্কোর না হলেও ম্যাচের শেষ দিকে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় পাননি তারা। ম্যাচ জিততে না পারলেও শেষ ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক অসাধারণ বোলিং করে পাকিস্তান শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সাবের হোসেন চৌধুরীর মতে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর স্পোর্টিং মনোভাবে সবাইকে মুগ্ধ করেছে। তিনি নিজেও মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়কের মনোভাবে।
ঘটনা ম্যাচের শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ’র শেষ বল করার সময়। ওভারের শেষ বলটি পিচ করার পর মোহাম্মদ নওয়াজ হাত উঠিয়ে জানালেন, তিনি প্রস্তুত নন। ততক্ষণে কিন্তু বল লেগ স্টাম্প ভেঙে দিয়েছে। ফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ বলটি ‘ডেড’ ঘোষণা করেন। মাহমুদউল্লাহও ব্যাটারের যুক্তি মেনে নেন। ফলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এরপর শেষ বলটি মাহমুদউল্লাহ আবার করলে নওয়াজ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় মাহমুদউল্লাহর স্পোর্টসম্যানশিপের প্রশংসা করে বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের চৌধুরী ম্যাচ শেষে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন,‘মাহমুদউল্লাহর ডেলিভারিটি বৈধ ছিল এবং তিনি স্পোর্টসম্যানশিপের ঊর্ধ্বে উঠে বদান্যতা দেখিয়েছেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণও করেননি। বিষয়টা সত্যিই স্মরণীয়। পাকিস্তান বাংলাদেশকে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচটিতে নৈতিক জয় পেয়েছে।’
যদিও সবাই মনে করছেন নওয়াজ ইচ্ছা করেই ওই সময় সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ম্যাচ শেষে নওয়াজ জানান, তিনি নাকি বলটা দেখতেই পাননি। যে কারণে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। নওয়াজ বলেন,‘আমি নিজের গার্ড নিতে ব্যস্ত থাকায় বোলারের দিকে তাকাইনি। হঠাৎ করেই ও (মাহমুদউল্লাহ) বলটা করে দেয়। বলটা প্রায় অর্ধেক রাস্তা পার করে মাটিতে পড়ার আগে আমি মাথা তুলে পুরো জিনিসটা দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ওকে থামানোর চেষ্টা করি।’
তবে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সাধারণত বল ডেলিভারির আগে সমস্যা হলে আপত্তি জানিয়ে না খেলতে পারেন কোনো ব্যাটার। বোলার তখন বল ছুঁড়লেও ব্যাটারের পরিস্থিতি আমলে নিয়ে আম্পায়ার ডেড বল কল দিতে পারেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ডেলিভারিটি করার পর বল পিচেও পড়ে গিয়েছিল। তখন প্রস্তুত অবস্থা থেকে নাওয়াজের হঠাৎ অপ্রস্তুত হওয়ার মতো ঘটনা কিন্তু ক্রিকেটে একদমই বিরল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।