পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেনাপোল অফিস : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে গত অর্থ-বছরের চেয়ে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরের জুলাই ও আগস্টে তিন হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন পণ্য কম আমদানি হয়েছে।
এই দুই মাসে আমদানি হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৩০ টন পণ্য। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ২২ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন।
তবে জুলাই ও আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় ১১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি হয়েছে। দুই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে ৫৯৪ কোটি এক লাখ টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চলতি বছরের দুই মাসে ছুটির হার বেশি ছিল। তাছাড়া বন্দরে পণ্যজট থাকায় ভারত থেকে ধীরগতিতে আমদানি হয়েছে। হয়রানি বন্ধ, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবিকৃত ক্লিয়ারিং হাউস চালু হলে আমদানি-রফতানিতে গতি ফিরে আসবে এই বন্দরে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দরের অধিকাংশ ক্রেন ও ফর্কলিফট অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের মালামাল খালাস প্রক্রিয়া। আমদানিকারকরা সময়মত তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে পণ্যজট। বন্দরের গুদাম থেকে পণ্য বের করার পর নতুন পণ্য ঢোকাতে হচ্ছে। জায়গার এ সঙ্কটের কারণে পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দরের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে থাকছে দিনের পর দিন। ট্রাক থেকে পণ্য নামানোর অনুমতি মিললেও ক্রেন মিলছে না। ফলে জায়গা ও ক্রেন সঙ্কটে বিপাকে পড়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বন্দর ব্যবহারকারীদের মেশিনারিসহ ভারি মালামাল লোড-আনলোডের সময় দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকতে হয় সিরিয়াল দিয়ে।
দেশের সিংহভাগ শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ও বিভিন্ন প্রকল্পের বেশিরভাগ মেশিনারিজ আমদানি করা হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে। ক্রেন ও ফর্কলিফট ছাড়া এ জাতীয় পণ্য বন্দরে আনলোড ও বন্দর থেকে খালাস নেয়া সম্ভব নয়। পণ্য ধীরগতিতে ছাড় হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দর ব্যবহার করছেন। যে কারণে বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি অনেকটা কমে গেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মারুফুর রহমান জানান, বছরের শুরুতে বাজেটে পরিবর্তন আসার কারণে আমদানি কিছুটা কম হয়ে থাকে। তাছাড়া ঈদসহ দুই মাসে সরকারি ছুটি বেশি থাকায় পণ্য আমদানি কম হয়েছে। তবে সামনের মাসগুলোতে আমদানি বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমদানি কম হলেও পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণ হওয়ার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে। বেনাপোলকে আরো গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা একসাথে কাজ করছি।’
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘চলতি অর্থ-বছরে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেমন মোটর পার্টসের মূল্য আগে এক ডলার থাকলেও সেখানে করা হয়েছে তিন ডলার। এছাড়া ফ্রেব্রিক্সসহ সব পণ্যের মূল্য কাস্টম বাড়িয়েছে। এতে করে আমদানিকারকরা পণ্য এনে বিক্রি করতে পারছেন না। যে কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম করছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।