পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
করাচি থেকে ছেড়ে যাওয়া তেজস্ক্রিয় পদার্থের একটি চালান জব্দ করার ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, যে নৌযানে করে পাঠানো ওই চালানের কথা বলা হচ্ছে তাতে ছিল কিছু খালি কন্টেইনার। এর ভিতরকার পদার্থ আগেই ব্যবহার করা হয়েছে কে-২ এবং কে-৩ পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অসীম ইফতিখার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন ম্যাটেরিয়াল জব্দ করা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তা ভুল, ভিত্তিহীন, হাস্যকর। এটা পাকিস্তানকে ছোট করতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতে ভারতের প্রচলিত একটি ষড়যন্ত্র। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে আরো বলা হয়, মান্দ্রা বন্দরের ব্যবস্থাপনা করে ভারতের আদানি পোর্টস নামের কোম্পানি। তারা বৃহস্পতিবার সাংহাইগামী একটি নৌযান থেকে বেশ কিছু কন্টেইনার জব্দ করেছে। তবে তারা একটি বিবৃতিতে দাবি করেছে, মান্দ্রা বন্দরে বিদেশি একটি জাহাজ থেকে কাস্টমস ও ডিআরআই টিমের একটি যৌথ দল কিছু কন্টেইনার জব্দ করেছে। তাদের সন্দেহ এতে অঘোষিত ক্ষতিকর জিনিসপত্র বহন করা হচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানিটি দাবি করে ডকুমেন্টে কার্গোটিকে ক্ষতিকর নয় বলে তালিকাভুক্ত ছিল। যদিও এতে থাকা কন্টেইনারগুলোতে হ্যাজার্ড ক্লাস ৭ মার্ক করা পদার্থ ছিল। এগুলো ইঙ্গিত করে যে, এতে তেজষ্ক্রীয় পদার্থ থাকতে পারে। এরপর কর্তৃপক্ষ আরো তদন্তের জন্য তা জাহাজ থেকে নামিয়ে ফেলে। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র আরো বলেন, করাচি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ এটা জানিয়েছে যে, অফলোড করা কন্টেইনার ছিল খালি। সেগুলো চীনে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল। এর আগে এসব কন্টেইনার ব্যবহার করে চীন থেকে কে-২, কে-৩ পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ আনা হয়েছিল। এ দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র এবং তাতে ব্যবহৃত জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার নির্দেশনার অধীনে। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে এ বিষয়ে নিরাপত্তা নির্দেশনা আছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার। এসব নির্দেশনার মধ্য দিয়ে এই সংস্থা নিশ্চিত হয়, কেউ পারমাণবিক স্থাপনা অপব্যবহার করছে কিনা এবং সেখানে পারমাণবিক পদার্থ শান্তিপূর্ণ উপায়ের অন্যথা ব্যবহার হচ্ছে কিনা। পাকিস্তানি ওই মুখপাত্র বলেন, ভুল করে বলা হচ্ছে ওইসব কন্টেইনার বা তা বহনকারী কার্গোকে ক্ষতিকর নয় বলে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু তিনি বলেন, এই কন্টেইনার কোনো ক্ষতিকর নয়- যথাযথভাবেই এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে কন্টেইনারগুলো ছিল ফাঁকা। তিনি বলেন, এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ভুয়া খবর প্রকাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে হেয় করা। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।