Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইনি লড়াইয়ের সুযোগ চান আইএস বধূ শামীমা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৫১ পিএম

নাগরিকত্ব বাতিল হলেও ব্রিটেন ফিরতে চান আইএস বধূ বলে পরিচিত শামীমা বেগম। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ চান তিনি। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বর্তমানে সিরিয়ার আল রোজ শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছেন।

স্কাইনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে শামীমা জানিয়েছেন, সেখানে বসবাস করা এখন ভীতিকর হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ সময় সেখানে কোনো সহিংসতা ছিল না। কিন্তু কিছু কারণে বর্তমানে এখানে বসবাস করা ভয়ের হয়ে উঠেছে। হয়তো নারীরা কোনোকিছুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

তিনি এখন আশা এবং স্বপ্ন নিয়ে আছেন। যদি নাগরিকত্ব পুনর্বহাল করা না হয়, তাহলে তার কোনো বিকল্প পরিকল্পনা নেই। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমি অভিযোগের জবাব দিতে আদালতে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু আমাকে তো সুযোগই দিচ্ছে না। যখন সময় আসবে তখন তিনি পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে মিলিত হতে পারবেন বলে আশা করেন। তার ভাষায়, ‘আমার মনে হয় না তারা আমাকে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আমি তো তাদের ফেলে এসেছি।’

১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডন ছেড়ে ২০১৫ সালে সিরিয়া চলে যান আইএসে যোগ দিতে। এখন তার বয়স ২২ বছর। বলেছেন, আইএসে যোগ দেয়ার জন্য যখন সিরিয়া পালিয়ে যান, তখন ব্রিটেনকে ঘৃণা করতেন না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন শামীমা। আইএসের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর যে অভিযোগ আছে তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, এসব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।

শামীমা বলেন, তিনি যখন টিনেজ বয়সে ব্রিটেন ছাড়েন, তখন তাড়াহুড়ো করে ছাড়েননি। কিছু সময় নিয়ে এ বিষয়ে চিন্তা করতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্রিটেনকে ঘৃণা করি না। বাস্তবেই ঘৃণা করি আমার জীবনধারাকে। নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নিয়েছি বলেই মনে হয়। একজন বৃটিশ নারী হিসেবে ব্রিটেনে বসবাস করতে চাই আমি। আমার মনে হয়, আমি একটিই অপরাধ করেছি। তাহলো এখানে এসে। এর জন্য আমাকে জেলে যেতে হলেও আমি যেতে রাজি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার জবাব দিতে আমি আইনি লড়াই করতে চাই।’ সূত্র: স্কাই নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ