গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পায়ে হেটে কারা গেলেন, অথচ আজ তার অবস্থা গুরুতর কেন? কেন তিনি এতো অসুস্থ? এ গুরুতর অসুস্থতা নিশ্চয়ই কারাগারে দেশনেত্রীকে তিলে তিলে ধ্বংস করার জন্য। জনগণের মনে শঙ্কা যে, বেগম খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। এ কারণেই তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বিদেশে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যদি সেটা বেরিয়ে আসে।
রোববার (২১ নভেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের পর আমরা বলেছি এ সরকার খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করতে পারে- এই সরকার তাকে বিষ প্রয়োগ করতে পারে। আজ তাকে মুক্তি দিচ্ছে না, বিদেশ পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না, আজকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হচ্ছে শেখ হাসিনার নিজের আইনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছেলেধরা যেমন মুক্তিপণ আদায় করে, ঠিক আজ খালেদা জিয়াকে দস্যু ব্যক্তির মতো শেখ হাসিনা আটকে রেখেছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অপরাধ নেই, অপরাধ তারা খুঁজে বের করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির জন্য এতো মায়াকান্না? উনি হিংসা, নিষ্ঠুরতা, প্রতিহিংসা করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার পর মানুষ কী বলছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী বলছে- এই লাজলজ্জার সব ভূষণ কেড়ে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যত জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে গেছেন শুধু গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য। তিনি কি কম নির্যাতন সহ্য করেছেন? সাতবার গৃহবন্দি হয়েছেন, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তারপরও তিনি তার কর্তব্য পালন থেকে, লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। এই হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজপথে তার অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে গেছেন। এ কারণেই দেশের শত্রুরা বন্দি করার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মূল টার্গেট করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি দ-িত ব্যক্তি বলছেন (খালেদা জিয়াকে)। একটু অপেক্ষা করেন, আপনি কীভাবে দ-িত ব্যক্তি হতে পারেন- এ বিচার বিভাগই আপনার বিরুদ্ধে রায় দেবে। যেভাবে কব্জা করে আপনি এটা করেছেন, আপনি এতো অন্যায় করেছেন যে কোনো দিক দিয়ে কোনো কিছু করার নেই। এ দেশের মানুষ দেখবে দ- কার ওপর আরোপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, আপনার প্রভুরা আপনাকে আশ্রয় দিচ্ছে, আপনি টের পাচ্ছেন না। যে কালবৈশাখী ঝড় আপনার দিকে ধেয়ে আসছে, এই কালবৈশাখী ঝড়ে আপনি আর আপনার সরকার খড়কুটোর মতো টের পাচ্ছেন না। আপনার চারদিকে চামচা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভুলে গেছেন জনগণের নেত্রীকে দমন করা যায় না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে কারাগারে বন্দি করে রাখতে পারেন। গোটা দেশের মানুষের কাছে তিনি অস্তিত্ববান, তিনি জীবন্ত, পদ্মা-মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নাম। হেমন্তের ধানের মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার নাম, আপনি হেমন্তের বাতাসকে আটকাবেন কী করে, আপনি পদ্মা-মেঘনার ঢেউকে আটকাবেন কী করে, সেখানে প্রতিনিয়ত বেগম খালেদা জিয়ার নাম।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, আনোয়ার মোহাম্মদ শামীম আজাদ, সুলতান মো. নাসির, সাহাবুদ্দিন মুন্না, এবিএম পারভেজ রেজা, ওয়াহিদ ইমতিয়াজ বকুল, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, আরিফুর রহমান, তারেক-উজ জামান তারেক, মুস্তাফিজুর রহমান মনির, আবদুল কুদ্দুস, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, আহসান হাবিব প্রান্ত, মহানগর দক্ষিণের এসএম জিলানী, নজরুল ইসলাম, উত্তরের ফখরুল ইসলাম রবিন, গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।