বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর সাইফুল ইসলাম বিশ^াসের বিরুদ্ধে ফের ধর্মীয় ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে তাকে ভোট না দেয়ায় হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধকে মারপিট করেছে মেম্বরের সহযোগীরা। একইদিন আরো দুজনকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ভোটের পরের দিন (১২ নভেম্বর) মেম্বরের নির্দেশে তার লোকজন মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বল্লভপুর গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে সরজিত কুমার রায়।
এর আগে ২০১৫ সালে সাইফুল মেম্বরের নেতৃত্বে বল্লভপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি কার্তিক বিশ^াস ও সম্পাদক সরজিত কুমার রায়কে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে বল্লভপুর বাওড়ের শেয়ার অবৈধভাবে স্ট্যাম্প করে নেন সাইফুল মেম্বর ও তার সহযোগীরা। অভিযুক্তরা হলেন চৌগাছা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বিশ^াস (৩৮), বল্লভপুর মাধবপুরপাড়ার জামির হোসেন (৩৮), আরশেদ আলী (৪০) ও শাহজাহান আলী (৪৫), বল্লভপুর মাধবপুরপাড়ার ছাকের আলী (৩৩), বল্লভপুর মাধবপুরপাড়ার শুকুর আলী (৩৮), বল্লভপুর গ্রামের জনি মিয়া (২৪), একই গ্রামের মহিনুর (৪০) ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাত ৪/৫জন।
অভিযুক্ত মেম্বর সাইফুল ইসলাম বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আমি জড়িত নই। ভোটের পরের দিন আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদেরকে মাফ চাইতে বলেছিলাম। চৌগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন, ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। একই সাথে দ্রুত ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।