নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথম দিনের অনুশীলন সারল পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুরের একাডেমি মাঠে গা গরমের পর নেট প্র্যাকটিস করেন দলটির ক্রিকেটাররা। সফরকারী দলের নেট প্র্যাকটিস করার সময় অভিনব একটি জিনিস ধরা পড়ে সবার চোখে। শের-ই-বাংলা একাডেমির পশ্চিম-উত্তর কোণে নেটের দুদিকে নিজেদের জাতীয় পতাকা টানিয়ে ব্যাটিং-বোলিং প্র্যাকটিস করতে থাকেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
তাদের এই পতাকা টানানো অভিনব লাগছে এই কারণে যে, বাংলাদেশে আগে কখনো কোনো সফরকারী দলকে এভাবে নিজ দেশের পতাকা টানিয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায়নি।
পাকিস্তান শিবিরের কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না থাকায়, কেন এভাবে পতাকা টানিয়ে অনুশীলন সেই সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে খেয়াল করে দেখা গেছে, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই এভাবে নেটের দুই পাশে পতাকা টানিয়ে নেট করছেন দলটির ক্রিকেটাররা।
সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনুশীলনে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে দেখা যায় পাকিস্তানের দুটি পতাকা কাঁধে করে নিয়ে আসতে। এরপর পতাকা দুটি অনুশীলনের ম‚ল এলাকার পাশে পুঁতে দিয়ে খেলোয়াড়রা সেরেছিলেন প্রস্তুতি। পরে দলের কোচ সাকলায়েন মুশতাক ব্যাখ্যা করেন কেন ক্রিকেটাররা এভাবে জাতীয় পতাকা নিয়ে অনুশীলনে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই দল পুরো দেশের (পাকিস্তানের) প্রতিনিধিত্ব করছে। দেখেই মনে হচ্ছে দেশের ২২ কোটি লোক যেন এক হয়ে আমাদের জন্যে গলা ফাটাচ্ছে।’
টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট হাত ছাড়া করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশে। সেই গøানি কাটাতেই ৩টি টি-২০ এবং ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে গতপরশুই ঢাকায় পৌঁছেছে বাবর আজমের দল। আর সেই কারণেই বিশ্রামকে উপেক্ষা করে, উইকেট পরখ করে নিতে একদিনের কোয়ারেন্টিন শেষে গতকালই নেমে পড়েছেন অনুশীলনে। রিজোয়ান, বাবরদের মারমুখি ব্যাটিং অনুশীলন এবং হাছান আলী, শাহিন আফ্রিদীদের ঝড়ো গতি বোলিং এ বহ্নিদীপ্তময় অগ্নিশিখা জানান দিয়ে যাচ্ছে, কতটা মরিয়া তারা বিশ্বকাপের কালো অধ্যায়ের ইতি টানতে! পক্ষান্তরে ছন্দ হারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও বিশ্বকাপের বিভিষিকাময় দুঃস্মৃতি ভুলে নতুন শুরুর মহৌষধ হিসেবে দেখছেন এই সিরিজটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।