Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনে রফতানি বাড়ানোর তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৩৫ এএম

‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশের উচিত চীনে রফতানি বাজার সম্প্রসারণে আরও সংক্রিয়ভাবে কাজ করা। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক চীনের বজারে বাংলাদেশের রপ্তানি অতি সামান্য।

গত শনিবার বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত ‘চীনা বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভাবনা: অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা কীভাবে কাজে লাগানো যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইপিবির মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিআইডিএস এর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শিবান শাহানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
এ সময় রিসার্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারগেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ বলেন, শীর্ষ রফতানিকারক হওয়ার পাশাপাশি চীন নিজেও বড় আমাদনিকারক দেশ। চীনের রয়েছে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের স্থানীয় বাজার। বাংলাদেশ যদি চীনের এই বাজারের এক শতাংশও অর্জন করতে পারে, তাহলে কেবল চীনেই ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন রফতানির সুযোগ আসতে পারে। আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের একটি মসৃণ গ্র্যাজুয়েশনের জন্য চীনের এই বাজারকে টার্গেট করা উচিত। ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এলডিসি উত্তরণটা মসৃণ করতে বাংলাদেশের উচিত হবে চীনের বিনিয়োগ এবং রফতানি বাজারের দিকে সমানভাবে ফোকাস করা। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য একটি ট্রাম্পকার্ড হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেন, বাংলাদেশকে চীনের দেয়া প্রবেশাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে আমাদের রফতানি বাস্কেটকে বৈচিত্র্যময় করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শনের জন্য চীনের সাংহাইয়ে একটি স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্রের জন্যও সরকার কাজ করছে বলে জানা তিনি।
ড. মাহফুজ কবির বলেন, ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে দেয়া চীনের প্রবেশাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধা গত বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই নতুন শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশের কার্যকারিতার সঙ্গে চীনে বাংলাদেশের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় পণ্যের প্রস্তুতির অভাব ও করোনা মহামারির কারণে তা ব্যাহত হয়েছে।
বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সাধার সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে হাজার বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে উন্নীত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় একমুখী, যা প্রবলভাবে চীনের পক্ষে গেছে। চীনের প্রবেশাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধা কম ব্যবহার হওয়ার কারণে এই বাণিজ্য ব্যবধান ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রফতানি সম্প্রসারণে চীনের উচিত সহায়তা করা, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে কমাতে সহায়তা করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ