পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাক্ষ্য আইনের দু’টি বিধান বাতিল চেয়ে রিট করা হয়েছে। বিধান দু’টি হচ্ছে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) এবং ১৪৬ (৩)। বিধানগুলোতে যৌন অপরাধের শিকার নারীকে সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং ‘নারীপক্ষ’র পক্ষে ব্যারিস্টার সারা হোসেন এ রিট করেন। রিট সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আবেদনে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা হয়েছে, একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন ও জেরা করা যায়। অনেক দিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। এখন আমরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা অনুসারে, কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারি আদালতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা। জেরায় প্রশ্ন করা নিয়ে ১৪৬ (৩) এ বলা হয়েছে, ‘তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে। কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে। অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।’
এর আগে বলা হয়েছিল সাক্ষ্য আইনের ধারা সংশোধন করা হবে। কিন্তু সেটি করা হয়নি বলে রিট আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষাপটে ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’ ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ ২টি ধারা বাতিল চেয়ে রিট করা হয়েছে। এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বিধান নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে তাই এটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই উদ্যোগ নারীর মর্যাদাহানি রোধ করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।