Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেয়া সেই ওয়ার্ডবয় আটক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৪১ এএম

‘৫০ টাকা বকশিস কম পেয়ে রোগীর অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ায়’ স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত হাসপাতাল কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের কর্মচারী ধলুকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাবের মিডিয়া পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করবে র‌্যাব।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই রোগীর মৃত্যুতে শহরজুড়ে সমালোচনা শুরু হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল তদন্ত কমিটি গঠন করে। হাসপাতালটিতে বিকাশ চন্দ্র নামে ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্মচারীকে ‘৫০ টাকা বকশিস কম দেওয়ায়’ তিনি রোগীর অক্সিজেন মাস্ক ‘খুলে নিয়েছিলেন’। মৃত বিকাশ চন্দ্র গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারি গ্রামের বিশু চন্দ্র কর্মকারের ছেলে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
বিকাশের কাকা শচীন চন্দ্র কর্মকার সমকালকে বলেন, ‘হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শেষ করে অক্সিজেনসহ রোগী বিকাশকে তৃতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের দুলু নামে এক কর্মচারী রোগীকে ট্রলিতে করে বেডে পৌঁছে দেওয়ার পর ২০০ টাকা বকশিস দাবি করেন। এ সময় বিকাশের বাবা ১৫০ টাকা দেন। তাদের কাছে আর কোনো টাকা না থাকার কথা জানালে কর্মচারী দুলু রোগীর মুখ থেকে অক্সিজেন মাক্স খুলে দেয়। এতে ৫ মিনিটের মধ্যে বিকাশ শ্বাসকষ্টে মারা যায়। এসময় অন্যান্য রোগীর লোকজন ওই কর্মচারীর ওপর চড়াও হলে হাসপাতালে কর্মরত আনসারদের সহায়তায় পালিয়ে যান ধলু।’
শচীন চন্দ্র কর্মকার জানান, সংসারে টানাপড়েনের কারণে বিকাশ লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাইসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিকাশ মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
তাকে সাঘাটা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১০টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম বলেন, ‘রোগীর মৃত্যুর পর সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তৃতীয় তলায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই ওই কর্মচারী পালিয়ে যায়।’
শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ধলু কোন সরকারি কর্মচারী নন। মাঝে মাঝে সেখানে ডিউটি করত। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে।’ এরপর অভিযুক্ত ধলুকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নামে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ