Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভয়ে পালাচ্ছেন ‘কাপুরুষ’ বরিস জনসন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

দুর্নীতির জন্য শাস্তির হাত থেকে টোরি এমপিকে বাঁচানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টার জন্য সমালোচিত হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ওই এমপিকে বাঁচাতে সংসদেও তদন্ত প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ায় জনসনের বিরুদ্ধে ‘ভয়ে পালানোর’ অভিযোগ আনা হয়েছে।

সংসদের মান বিধি পুনর্লিখনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা নিয়ে হাউস অফ কমন্সে তিন ঘণ্টার জরুরি বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার পরে রক্ষণশীল এমপিরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণে যোগ দেন। লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার বলেছেন, গত সপ্তাহে তার মিত্র ওয়েন প্যাটারসনকে সমস্যা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করে ‘দুর্নীতির পক্ষে সবুজ আলো দেয়ার’ পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ‘দূরে চলে যাওয়া’ বেছে নিয়েছিলেন। কনজারভেটিভদের সাবেক নেতা হুইপ মার্ক হার্পার এমপিদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর যদি ভুল হয়, আমি মনে করি তার এসে জনসাধারণের কাছে এবং এ হাউসের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত, নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে এটাই সঠিক কাজ।’

জনসন এবং কনজারভেটিভ পার্টির ‘সম্ভাব্য অপরাধমূলক অসদাচরণ’ নিয়ে তদন্ত করার জন্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে। কারণ কনজারভেটিভ পার্টিও সাবেক কোষাধ্যক্ষের ৯ জন সহকর্মী ৩০ লাখ পাউন্ড বা তার বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। সংসদে তিন ঘণ্টার জরুরি বিতর্ক এড়াতে সহকর্মী স্টিফেন বার্কলেকে ক্ষুব্ধ এমপিদের মুখোমুখি রেখে জনসন নর্থম্বারল্যান্ডের একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভয় পেয়ে দৌড়’ আখ্যায়িত করে স্যার কির স্টারমার বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তিনি তার দলের ক্ষতি করেছেন এবং তিনি আমাদের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তিনি নর্দমা ও দুর্গন্ধের মধ্য দিয়ে তার দলকে নেতৃত্ব দেন।’ সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরিস জনসন

২৬ মে, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ