বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর।
এদিকে, ভোটের মাঠে প্রতিদিনই জোর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সমর্থিত প্রার্থীরা। এছাড়া ভোটের মাঠে সক্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে এই উপজেলায় ভোটের মাঠে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জাসদ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতাকর্মীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। সেখানে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনী এলাকায় করছেন পাল্টাপাল্টি সমাবেশও।
উত্তপ্ত ভোটের মাঠে প্রতিদিনই সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন বড় দুই দলের নেতাকর্মীরা। এতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নির্বাচনী এলাকায়।
ভোটের দিন বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বড় এই দুই দলের সমর্থকদের এখনই লাগাম টেনে না ধরতে পারলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
এদিকে নির্বাচনী জনসভায় কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফিন ও মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী এবং মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের জাসদ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাসদ নেতা আব্দুল হামিদের দেওয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেখানেও চলছে আলোচনা- সমালোচনা। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এখন জেলার টক অব দ্য টাউন।
কুষ্টিয়া জেলা জাসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কারশেদ আলম বলেন, আমরা প্রতিটি ভোটের মাঠে শান্তি চাই। এক্ষেত্রে কোনো শয়তান বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্য থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ। ভোটের মাঠে শান্তি বজায় রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সজাগ ভূমিকায় রয়েছে। আশা করি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি ছাড়াই এ নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।