Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতাল কর্মীর বাসায় মিলল মর্গে ৯৯ মৃতদেহকে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১০:১৬ এএম

দুটি হত্যা মামলায় ডেভিড ফুলার নামে সাবেক এক হাসপাতাল কর্মীর বাসায় তল্লাশি করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে গা হিম করা তথ্য। ১৯৮৭ সালে দুই নারী ও শিশুকে খুনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার দোষ স্বীকার করেছেন ওই ব্রিটিশ।
ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেভিড ফুলার (৬৭) নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে গোয়েন্দারা বেশ কিছু কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ, সিডি এবং মেমোরি কার্ড উদ্ধার করেন। সেসব ভয়ানক যৌন নির্যাতনের ভিডিও ও ছবিতে ভরা।
ওয়েন্ডি নেল এবং ক্যারোলিন পিয়ার্স নামে দুজনকে তিনি হত্যা করেন। এর মধ্যে একজন ১২ বছরের শিশু। সেই মামলাতেই তাঁর বিচার চলছে।
ফুলার কাজ করতেন ইংল্যান্ডের কেন্টে একটি হাসপাতালে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হার্ডড্রাইভ, সিডি এবং মেমোরি কার্ড থেকে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। সেসবে রয়েছে শিশু পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে বহু বীভৎস সব ছবি। হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ওপর যৌন নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে।
ফুলারের বাসার কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ এবং ফার্নিচারের পেছনে লুকিয়ে রাখা হাতে লেখা ডায়েরিতে লেখা রয়েছে তাঁর যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের বয়স ও পরিচয়ের বিস্তারিত। স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন ২০০৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। তাঁর নির্যাতনের শিকার সবচেয়ে কম বয়সী শিশুটির বয়স মাত্র ৯ বছর, আর সবচেয়ে বেশি বয়সী নারীর বয়স ১০০ বছর।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুলার স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, সব অপরাধই তিনি করেছেন হাসপাতালের মর্গে। ১৯৮৯ সাল থেকে সেখানে টেকনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ফুলার হাসপাতালে রাতের শিফটে কাজ করতেন। অন্য স্টাফরা যখন চলে যেতেন তখন তিনি ঢুকে পড়তেন মর্গে।
স্কাই নিউজ বলছে, তদন্ত কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছেন, ফুলার ৯৯ জন নারীর মৃতদেহের ওপর যৌন নির্যাতন করেছেন। এর মধ্যে ৭৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে তাঁরা ধারণা করছেন, নির্যাতনের শিকার মৃতদেহের সংখ্যা একশর বেশি হবে।
এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কেন্ট পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্ট, সাসেক্স, এসেক্স এলাকায় বসবাসরত ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং এ সংক্রান্ত নথি প্রস্তুত করতেই ২০ লাখ ডলার খরচ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফুলারের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ করেননি আদালত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বারি টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটেনের একাধিক পার্লামেন্ট সদস্য এবং নারীদের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান ফুলারের বিষয়ে গণতদন্তের দাবি জানিয়েছে। এমন একজন ভয়ঙ্কর নেক্রোফিলিয়াক (মৃতদের সঙ্গে যৌন সঙ্গমকারী) কীভাবে এক দশক ধরে নির্বিঘ্নে হাসপাতালে কাজ করে গেল তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্র : স্কাই নিউজ



 

Show all comments
  • Hm Belal ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম says : 0
    পৃথিবীতে কত বিকৃত রূটির মানুষ আছে,েএদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নুরুল আমিন ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম says : 0
    কিয়ামত ঘনিয়ে আসছে..িএসব ভাবতেই কেমন লাগে!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ