মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুক্রবার জলবায়ু সম্মেলনে ‘লক্ষ্য ২০৩০’ (ডেস্টিনেশন ২০৩০) শিরোনামের এক প্যানেল আলোচনায় প্রথম সপ্তাহের দর-কষাকষির মূল্যায়ন তুলে ধরে হয়। এতে বলা হয়, তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার আশা জিইয়ে আছে এবং আগামী সপ্তাহে আরও কী কী করণীয়, সে বিষয়গুলোতেই নজর দেয়া হবে।
জাতিসংঘের দুজন প্রতিনিধি নাইজেল টপিং ও গঞ্জালি মুনোজ এবং কপ ২৬–এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা এই প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। এতে বলা হয়, জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের (কপ ২৬) প্রথম সপ্তাহের আলোচনায় যতটুকু অঙ্গীকার পাওয়া গেছে, তাতে চলতি শতকের শেষে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার আশা শেষ হয়ে যায়নি।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার হিসাবে, এসব প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে এই হার জলবায়ু সংকট এড়াতে যথেষ্ট নয় বলে অভিহিত করেছেন পরিবেশবাদী তরুণেরা। তারা বলছেন, কপ ২৬ কোনো কাজে আসছে না, সুতরাং এটি বাতিল করা হোক।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, যেসব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ হলে বিশ্বের বার্ষিক উষ্ণায়নের হার চলতি শতকের শেষে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়াবে। কয়লাবিদ্যুতে নতুন বিনিয়োগ না করার বিষয়ে ৪০টি দেশের সমঝোতা এবং বন উজাড়ীকরণ বন্ধে শতাধিক দেশের চুক্তি, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের হালনাগাদ জাতীয় পরিকল্পনার (এনডিসি) আলোকে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে বলা হচ্ছে। কপ ২৬–এর প্রাক্কালে আইইএর সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বর্তমানে যে হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঘটছে, তাতে শতাব্দী শেষে উষ্ণায়নের মাত্রা ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে।
এদিকে গ্রিনহাউস গ্যাস উদ্গিরণে ধনীদের বিলাসিতা কতটা দায়ী, তা সামনে এনেছে দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। অক্সফামের হয়ে ইনস্টিটিউট অব ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্টাল পলিসি (আইইইপি) এবং স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউটের (এসইআই) করা এক যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৫০ শতাংশ দরিদ্র মানুষ মাথাপ্রতি যতটা গ্রিনহাউস গ্যাস তৈরি করেন, ১ শতাংশ শীর্ষ ধনীরা করেন তার ৩০ গুণ বেশি। তাদের ব্যক্তিগত বিমান, বিলাসবহুল মেগাইয়ট এবং মহাকাশযাত্রার বিলাসিতায় এই গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ঘটে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।