পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে মরক্কোর মারাকাসে শুরু হয়েছে ২২তম জলবায়ু সম্মেলনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভা। মরক্কোর রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের আমন্ত্রণে যোগ দেয়া রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তিনদিন ব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের এ আলোচনা সভায় তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মরক্কোর রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য রাখবেন বলে কথা রয়েছে।
গতকাল মরক্কো সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মারাকাসের কপ-২২ সম্মেলন স্থল বাব ইগলিতে পৌঁছালে মরক্কোর রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদ, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, কপ-২২ এর প্রেসিডেন্ট সালাডিন মেজুর জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রূপরেখা সনদের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব পেট্রিসিয়া এপিনোসাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী যৌথ আলোকচিত্র ধারণ শেষে উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।
দুপুরে মারাকাসের রয়্যাল প্যালেসে অন্যান্য সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরক্কোর রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন। বিকেলে জলবায়ু সম্মেলনে শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখার কথা।
৭ নভেম্বর মারাকাসের বাব ইগলিতে কপ-২২ শুরু হয়েছিলো। ১৮ নভেম্বর শেষ হবে এ সম্মেলন। জলবায়ু বিষয়ক প্যারিস চুক্তি সম্প্রতি কার্যকরের ঘোষণায় এবারের জলবায়ু সম্মেলনকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বছর প্যারিসে জলবায়ু বিষয়ক একটি কাঠামো চুক্তি করতে বাংলাদেশসহ ১৯৭টি দেশ একমত হয়। চুক্তিটি সই হয় চলতি বছরের ২২ এপ্রিল। এ পর্যন্ত চুক্তিটি অনু সমর্থন করেছে বাংলাদেশসহ ১১০টি দেশ। চুক্তি কার্যকরের ন্যূনতম আবশ্যকীয় শর্তগুলো পূরণ হওয়ায় ৪ নভেম্বর থেকে চুক্তিটি কার্যকরের ঘোষণা দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
এদিকে বান কি-মুন এদিন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে আশু করণীয় অনুধাবন করবেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকি থেকে ‘সরে’ আসবেন। বান কি-মুন মারাকেসে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক একটি বৈঠকে বক্তৃতা করার আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমাদের প্রত্যাশার কথা সবিস্তারে ব্যাখা করেছি এবং আমাদের আশা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি শুনবেন ও অনুধাবন করবেন।’ বান কি-মুন বলেন, ‘আমি মনে করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এটি অনুধাবন করবেন, শুনবেন এবং তার নির্বাচনী প্রচারণাকালীন করা মন্তব্য থেকে সরে আসবেন।’ -সূত্র : ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।