মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ চলতি সপ্তাহে চীনের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। স্পষ্টতই, প্রতিবেদনটি চীনের পারমাণবিক সক্ষমতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অগ্রগতি থেকে শুরু করে সবকিছু সম্পর্কে অনেক শিরোনাম তৈরি করেছে।
সোমবার কংগ্রেসে জারি করা এবং জনসাধারণের কাছে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়নগুলো গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে জড়িত’। পেন্টাগনের প্রতিবেদনের একটি অংশে চীনের নৌবাহিনীর আকারের বিবরণ দেয়া হয়েছে, যা এটি বিশ্বের বৃহত্তম হিসাবে বর্ণনা করে।
প্রতিরক্ষা বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন) সংখ্যাগতভাবে বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী। তাদের বহরে প্রায় ৩৫৫টি জাহাজ এবং সাবমেরিন, যার মধ্যে প্রায় ১৪৫ টিরও বেশি প্রধান যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। ২০২০ সালের হিসাবে, পিএলএএন মূলত আধুনিক মাল্টি-রোল প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে গঠিত।
নিকটবর্তী সময়ে, পিএলএএন এর সাবমেরিন থেকে স্থল লক্ষ্যবস্তু এবং স্থল-আক্রমণ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে স্থলভাগের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার নির্ভুল হামলা চালানোর ক্ষমতা থাকবে। উল্লেখযোগ্যভাবে এটি চীনের বৈশ্বিক শক্তি প্রক্ষেপণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। চীন তার অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার ক্ষমতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করছে তাদের বিমানবাহী জাহাজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সাবমেরিনগুলোকে রক্ষা করতে। এবং আগামী বছরগুলিতে চীনা নৌবাহিনী আরও বড় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএলএএন’র সামগ্রিক যুদ্ধ শক্তি ২০২৫ সালের মধ্যে ৪২০টি জাহাজে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৬০টি জাহাজে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বৃদ্ধির বেশিরভাগই হবে প্রধান পৃষ্ঠ যোদ্ধাদের মধ্যে। পিএলএএন-এর ফোর্স স্ট্রাকচারে অধীনস্থ সাবমেরিন ফ্লোটিলা, সারফেস শিপ ফ্লোটিলা, এভিয়েশন ব্রিগেড এবং নৌ ঘাঁটি সহ তিনটি বহর রয়েছে। প্রতিবেদনে চীনা সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামোতেও এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘এখানে আমরা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি যে, চীনের বিশাল নৌবাহিনী আকার ধারণার চেয়েও বেশি। এটি উল্লেখ করা উচিত যে, চীনের নৌবহর ফ্রিগেট এবং কর্ভেটের মতো ছোট শ্রেণীর জাহাজের উপর খুব একটা নির্ভর করে না। এমনকি এখনও, এর সংখ্যার সুবিধার বেশিরভাগই এর উপকূলীয় টহল জাহাজ থেকে আসে যা নগণ্য না হলেও চীনের নিকটবর্তী সমুদ্রের বাইরে শক্তি প্রয়োগ করার ক্ষমতা সীমিত রাখে।’ সূত্র: নাইনন্টিন ফর্টি ফাইভ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।