মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল মার্কিন সিনেটরদের তাদের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেছিলেন করছেন এবং তার রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করে তাদের বিপর্যয়কর ৩ লাখ ৫০০ কোটি ডলারের বিল সম্পর্কে লবিং করছেন। বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত হওয়ার পরে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন হ্যারি-মেগান দম্পতি। এই ঘটনাটি মার্কিন আইন প্রণেতাদের চমকে দিয়েছিল যখন মেগান অপ্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আনা প্রস্তাবের অংশ হিসাবে ফেডারেল বেতনভুক্ত পিতামাতার ছুটির জন্য তদবির করতে আহ্বান করেছিলেন। সিনেটর শেলি মুর ক্যাপিটো বলেছিলেন যে, একটি ব্লক করা নম্বর থেকে মেগানের কলটি যখন এসেছিল, তিনি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন সিনেটর জো মানচিন তাকে কল করেছেন।
সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে ক্যাপিটো জানান, কল রিসিভ করার পর তিনি শুনতে পান, ‘সিনেটর ক্যাপিটো? আমি হচ্ছি সাসেক্সের ডাচেস মেগান মার্কেল।’ তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি কিভাবে সে আমার নম্বর পেয়েছে।’ অপর সিনেটর সুসান কলিন্স পলিটিকোকে বলেছিলেন যে, তিনি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রীর কাছ থেকেও একটি কল পেয়েছিলেন, যিনি রাজকীয় উপাধি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করেছিলেন।
পলিটিকো রিপোর্টার মারিয়ান লেভিনের কাছে কলিন্স বলেন, ‘আমার কাছে আশ্চর্যের বিষয়, তিনি আমাকে আমার ব্যক্তিগত লাইনে ফোন দিয়েছিলেন এবং তিনি নিজেকে সাসেক্সের ডাচেস হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন, যা এক ধরণের বিদ্রূপাত্মক।’ তিনি বলেন, ‘আমি তার সাথে কথা বলে খুশি হয়েছিলাম। তবে আমার এলাকার লোকেরা আমাকে এটি সম্পর্কে কী বলছে, তাতে আমি আরও বেশি আগ্রহী।’
সাবেক অভিনেত্রী মার্কেলের তার ডাচেস উপাধি ব্যবহার করা এবং ফোন দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ক্ষোভের জন্ম দেয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যারেন গ্রিমস এটিকে আরও প্রমাণ বলে অভিহিত করেছেন যে, মার্কেল এবং হ্যারি একটি ‘অসহ্য জুটিতে’ পরিণত হয়েছে। জিবি নিউজের হোস্ট কলিন ব্রাজিয়ার টুইট করে বলেন, ‘আপনি যদি কাউকে আহ্বান করতে চান, তাহলে আপনার যুক্তির জোরে তাকে প্রভাবিত করুন। একটি প্রতিষ্ঠানের রাজকীয় উপাধিতে ব্যবসা করে নয়। আপনি এবং আপনার স্বামী এটিকে দুর্বল করার জন্য অনেক কিছু করেছেন।’
আরেকজন ব্রিটিশ ভাষ্যকার বলেছেন যে, অবশেষে সময় এসেছে ‘সরকারের তাদের উপাধির ব্যবহার বন্ধের জন্য পদক্ষেপগুলোকে গতিশীল করার। ‘তারা রাজনৈতিক উপায়ে এবং বাণিজ্যিক লাভের জন্য উপাধি ব্যবহার করে সমস্ত রাজকীয় নিয়ম ভঙ্গ করছে,’ টুইট করেছেন জ্যাকি পি। রাজকীয় পর্যবেক্ষক ব্রিটানি গ্যাডরি জোর দিয়েছিলেন যে, ‘আমেরিকান নাগরিক মেগান মার্কেল সারাদিন সিনেটরদের কল করতে পারেন - তবে সাসেক্সের ডাচেস হিসাবে তার মার্কিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেই।’ তিনি টুইট করেছেন, ‘এখানে আমেরিকার নীতিকে প্রভাবিত করার জন্য তার উপাধি ব্যবহার করা ভুল!’
ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে ‘আক্রোশজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘রাজকন্যা পিনোচিওর জন্য এইভাবে রাজনৈতিক তদবিরের জন্য তার রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করা কেবল আপত্তিজনক। তিনি বলেন, ‘রানীকে অবশ্যই তাদেরকে থামাতে হবে, যারা রাজতন্ত্রের খ্যাতির এমন অবিরাম ক্ষতি করে।’ তিনি তার পোস্টের শেষে আহ্বান জানান, ‘তাদের উপাধি কেড়ে নিন।’ সূত্র: পলিটিকো, দ্য সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।