বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা সদর উপজেলার ৯নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও ২ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির, বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের এম এ বারী বাদল ও ঘোড়া প্রতীকের গোলাম সারোয়ার শাহিনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, দোকানপাট ভাঙচুর ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও হামলা চালানো হয়।
এলাকাবাসী জানান, এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী স্কুলমাঠে নৌকার পথসভা ছিল। হঠাৎ করে বিদ্রোহী প্রার্থী বাদলের কর্মীরা নৌকার পথসভায় ডুকে চেয়ার টেবিল ও মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসিরের সমর্থকরা বাঁধা দিলে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণ পরে নৌকার প্রার্থী নাসির তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী বাদলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাদলের কর্মীরা আক্রমণ করে। একপর্যায়ে নৌকার কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অপর বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম সারোয়ার শাহিনের প্রচার গাড়িতে হামলা চালানো হয়। আহত কর্মীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা চালায় বিদ্রোহী প্রার্থী এমএ বারী বাদলের কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ আনে। বরগুনা থেকেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।