Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দ্রুতায়িত হচ্ছে চীনের পরমাণু অস্ত্র : শঙ্কিত পেন্টাগন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে পেন্টাগনের একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে কংগ্রেসে রীতিমতো সাড়া পড়ে গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে চীন পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বৃদ্ধি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি চীন একটি মিসাইলের পরীক্ষা করেছে। গোটা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে পারে যে মিসাইল। তারপরেই নিজেদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘটনার পরপরই কংগ্রেসে পেশ করা হলো পেন্টাগনের রিপোর্ট। পেন্টাগনের দাবি, মার্কিন গোয়েন্দারা গত এক বছর ধরে চীনের পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার নিয়ে তদন্ত করেছে।
তাদের বক্তব্য, প্রতিবছর দ্বিগুণ হারে চীন নানা পাল্লার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে যা এক হাজারে পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে পেন্টাগন। এত বেশি পরমাণু অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া ছাড়া আর কারো হাতে নেই। পরমাণু চালিত ব্যালেস্টিক মিসাইলও চীন দ্রুত গতিতে তৈরি করছে বলে পেন্টাগনের অনুমান।
চীনেরকাছে জল, স্থল এবং আকাশ থেকে ছোঁড়ার মতো পরমাণু অস্ত্র আছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। এপর্যন্ত যা কেবল অ্যামেরিকা এবং রাশিয়ার কাছেই আছে। শুধু তাই নয়, ইন্টারকন্টিনেন্টাল বা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ছোঁড়ার মতো পরমাণু অস্ত্রও এখন চীনের অস্ত্রভান্ডারে আছে।
পেন্টাগনের বক্তব্য, মিসাইল ছোঁড়ার জন্য চীন অন্তত তিনটি নতুন ফিল্ড তৈরি করছে। মাটির গভীরে তৈরি সেই ফিল্ডগুলি থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল পরমাণু অস্ত্র ছোঁড়া সম্ভব। পেন্টাগনের বক্তব্য, আক্রমণের জন্য চীন এভাবে পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি করছে না। তারা শক্তির পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াকে টেক্কা দিতে চাইছে। ক্ষমতার ভারসাম্যে নিজেদের ওজন অনেকটা বাড়িয়ে নিতে চাইছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছে। চাইলে তারাও যে সমান শক্তি নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে, সেই বার্তা দিয়ে রাখছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন গত কয়েকবছর ধরেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। একদিকে চীনের নৌবহরকে যেমন ঢেলে সাজানো হচ্ছে, তেমনই ওই অঞ্চলে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে চীন। এ নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল।বাইডেন আসার পরেও এবিষয়ে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়ার সামরিক শক্তি উন্নত করার চেষ্টা করছে। অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু লঞ্চার সমেত সাবমেরিন দেয়া হচ্ছে। যার অর্থ, প্যাসিফিকে আমেরিকার ক্ষমতা বাড়ানো। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে জোট গঠনেরও চেষ্টা করছে আমেরিকা। চীনের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধির পিছনে প্যাসিফিকও একটি বড় কারণ বলে মনে করছে পেন্টাগন। সূত্র : রয়টার্স, এপি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেন্টাগন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ