বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য রাজধানীর শ্যামপুরে আরও একটি শাখা খুলেছে দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে শ্যামপুরে মাদ্রাসাটির ২৮তম শাখার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শহর সমাজসেবা কার্যক্রম-১ এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর ইসলাম তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে তার বক্তব্যে বলেন, মৃত্যুর পর যে প্রশ্ন করা হবে- তা সবার জন্য একই। উত্তরগুলোও সবাইকে দিতে হবে। অনেক সংগঠনই আপনাদের জন্য কাজ করে। কিন্তু তারা (দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসা) আপনাদের জন্য যে কাজটি করছে, সেটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।
মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক মুফতি মুহাম্মদ আবদুর রহমান আজাদ বলেন, কালিমা-নামাজ পড়ে, আল্লাহকে খুশি করে, রাসুলপাকের (সা.) তরিকা মোতাবেক যাতে কবরে যেতে পারি- এই উদ্দেশ্যে আমরা ঢাকায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য মাদ্রাসা কার্যক্রম শুরু করেছি। তাদের মধ্যে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানো খুবই জরুরি। কারণ বিভিন্ন জায়গায় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা মসজিদে ইমাম সাহেবকে বলার পরও তাদের কুরআন শিক্ষা দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রিজ এলাকায় বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম একটি মাদ্রাসা চালু করা হয়েছে। মাদ্রাসাটির নাম রাখা হয়েছে 'দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসা'।
এর আগে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশে আলাদা কোন মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হিজড়াদের পড়ানোর কোন ব্যবস্থা নেই বলে জানা গেছে।
এই মাদ্রাসায় মূলত কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষাও দেয়া হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। ফলে এখান থেকে পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কারিগরী পেশায় যুক্ত হতে পারবেন।
দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসায় পড়ার ক্ষেত্রে কোন বয়স সীমানির্ধারণ করে দেয়া হয়নি, অর্থাৎ হিজড়া জনগোষ্ঠীর যে কোন বয়সের মানুষ এই মাদ্রাসায় ভর্তি হতে পারবেন।
এখানে পড়াশোনা করতে শিক্ষার্থীদের কোন খরচ গুণতে হবে না। মরহুম আহমদ ফেরদৌস বারী চৌধুরী ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মাদ্রাসাটির যাবতীয় কার্যক্রম চলবে।
বাংলাদেশে হিজড়াদের ভোটাধিকার দেয়ার পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা নারী বা পুরুষ নয়, বরং হিজড়া হিসেবে পরিচিতি পান। এছাড়া ভোট দেয়া, এমনকি নির্বাচনেও অংশ নিতে তাদের বাধা নেই। তবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মক্তবে ছেলেমেয়েদের যৌথশিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে হিজড়াদের জন্য কোন আলাদা ব্যবস্থা দেখা যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।