গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া। তিনি ঢাকার দারুন নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেন। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ১০০.৫।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘খ’ ইউনিটে পাসের হার ১৬.৮৯ শতাংশ। ফল প্রকাশের পরেই ফেসবুকে ভাইরাল হন মেধাবী এই মাদরাসা শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশের পর অনেকেই ফেসবুকে জাকারিয়ার ছবি শেয়ার করে চমক লাগানো সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। আবার অনেকে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সেরা ফল করেও পছন্দের বিষয়ে ভর্তি হতে না পারায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়ে মেহেদী হাসান লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ,,,, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের অনেকে অবহেলা করে তাদের কে বলতে চাই মাদ্রাসা সবদিক থেকেই শ্রেষ্ঠ নীতি নৈতিকতা, আদর্শ,ভালো মানের লেখাপড়া সব ই হয় মাদ্রাসায়।,,, এর প্রমাণসরূপ, এই ভাই,,ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল,,,।’’
বৈষম্যের ক্ষোভ থেকে মাদারাসা শিক্ষার্থী মোঃ হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘পক্ষপাতিত্বের ওয়াশিং পাউডার দিয়ে ওয়াশ করা কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের মগজে এগুলো কখনোই ঢুকবে না।জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কম্পিটিশন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও আমাদের জায়গায় থেকে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি বহুবার।পাছে লোকে কিছু বলে, বলতেই পারে।আমরা থেমে ছিলাম না, থেমে নেই, থেমে থাকবো না, ইনশাআল্লাহ।’’
মোঃ এম রহমান লিখেছেন, ‘‘আমার দেখা অনেক মাদ্রাসার ছাত্র আছে, তারা ভয়ংকর ট্যালেন্ট। মাদ্রাসায় তারা শুধু ধর্মই শিখে না, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান সহ সব বিষয়ে শিখে। তারা যে সব বিষয়ে পারদর্শী, দেশের প্রথম শারীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তার প্রমাণ দেয়।কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের কিছু মানুষ এই মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিতর্কিত করতে উঠে পরে লেগেছে।’’
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে মোঃ আবু তালহা আফনান লিখেছেন, ‘‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি মেধাবী এবং অধ্যবসায়ী। তারা অনেকবার আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমি গর্বিত মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে।’’
আজিজ আল কাওছার লিখেছেন, ‘‘এরপরেও ইউনিভার্সিটি প্রশাসন আইন করে মাদ্রাসা ছাত্রদের এই সাবজেক্ট দেওয়া যাবে না, ওই সাবজেক্ট হবে না, কত চুলকানি যে আছে মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে।’’
মোঃ রাসেদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রমকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্তু প্রতিবছর দেশ সেরা ছাত্রদের মধ্যে অবস্থান পাচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্ররা। অভিনন্দন।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।