পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর উত্তর কাট্টলীতে একটি বাসায় গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। একইস্থানে এক বছর আগেও বিস্ফোরণের ঘটনায় নয়জন দগ্ধ এবং তিনজন মারা যায়। সোমবার রাতে দ্বিতীয় দফায় অগ্নিকাণ্ডের পর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ বাড়ির মালিক মমতাজ মিয়া ও কেয়ারটেকার মো. আবুল হোসেনকে আটক করেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, গ্যাস লাইনের ফুটো থেকে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় উত্তর কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার রোডে মরিয়ম ভিলার ষষ্ঠ তলায় ভাড়াটিয়া জামাল শেখের বাসায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। জামাল শেখ স্থানীয় হাক্কানি আয়রন মার্টের নিরাপত্তা কর্মী ও তার বাড়ি জামালপুরে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- জামাল শেখের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৯), ছেলে শাহজাহান শেখ (২৫), মো. স্বাধীন (১৭) ও মো. জীবন (১৪), মেয়ে মাহিয়া আক্তার (১০) এবং শাহজাহানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম (১৮)। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। সাজেদা বেগমের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার ছেলে স্বাধীনের ৪২ শতাংশ ও জীবনের ৪০ শতাংশ এবং মেয়ে মাহিয়ার ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া শাহজাহানের ২০ শতাংশ ও তার স্ত্রী দিলরুবার শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। কাজের জন্য ঘরের বাইরে থাকায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন জামাল শেখ।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, রাতে আকস্মিকভাবে ওই বাসায় বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসার দরজা, জানালা ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে ওসি জহির বলেন, ঘটনাস্থলে গ্যাসের সঞ্চালন লাইনে লিকেজ আছে। সেখান থেকে নির্গত গ্যাস জমে দাহ্য কিছুর সংস্পর্শে আসার ফলে বিস্ফোরণ ঘটে।
ওসি জানান, গত আগস্টে একইস্থানে বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের ৯ জন সদস্য আহত হন। এর মধ্যে একই পরিবারের তিনজন পরে মারা যান। সেসময়ও তদন্তে সংশ্লিষ্টরা গ্যাসের সঞ্চালন লাইনে লিকেজের কথা জানিয়েছিলেন। আহতরা জানিয়েছেন বাড়ির মালিককে বার বার অভিযোগ করার পরও লিকেজ সারানো হয়নি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ির মালিক ও কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।