Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নামের ভারতীয় মিথ্যাচার বৈরিতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে

ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষিত মানুষরাই মূর্খদের দ্বারা পরিচালিত : হামিদ মীর

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের জিও টিভির নির্বাহী সম্পাদক হামিদ মীর বলেছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নামে এক অদ্ভুত মিথ্যা বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে মিথ্যাচারে ভারত দশ কদম এগিয়েছে। পাকিস্তানের দৈনিক জং পত্রিকায় প্রকাশিত কলামে হামিদ মীর ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে এমন মন্তব্য করেন। গত ৩ অক্টোবর মূল বিষয় কাশ্মীর নয় শিরোনামে প্রকাশিত কলামে হামিদ মীর বলেন, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত-রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করে ভারত দাবি করেছে, দশজন চরমপন্থিকে হত্যা করে তারা নিরাপদে ফিরে গেছে। এই মিথ্যাচার পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে বৈরিতার ব্যবধানকে আরো বাড়িয়ে দিল।
বিখ্যাত এই সাংবাদিক বলেন, এটা ঠিক যে দুর্নীতি এখানেও হয় ওখানেও হয়। সেখানেও মিথ্যাবাদীদের বারবার ভোট দেয়া হয়, এখানেও জনগণের সামনে মিথ্যাবাদীদের বারবার ছেড়ে দেয়া হয়। ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষ আইনের ছায়ায় গরুর গোশত সংরক্ষণকারীদের হত্যা করা হয়, আর পাকিস্তানে ইসলামের নামেই ইসলামী প্রতিষ্ঠানকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হয়। সেখানে মহাত্মা গান্ধীকে এক হিন্দু আর ইন্দিরা গান্ধীকে এক শিখ হত্যা করেছে, আর এখানে লিয়াকত আলী খান ও বেনজির ভুট্টোকে একজন মুসলমান হত্যা করেছে।
হামিদ মীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তান সামরিক সহায়তা দিয়ে কঠিন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক সহায়তা দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে প্রস্তুত হয়েছে। পার্থক্য এই, আমরা আগে ব্যবহৃত হয়েছি আর ভারত পরে হচ্ছে। যখন পাকিস্তান আমেরিকার ঐক্য ছিল ভারত রাশিয়ার সঙ্গে মিলে পাকিস্তানকে ভেঙে দেয়। ভারতের ধারণা ছিল পাকিস্তান ভেঙে দিলে কেউ আর তার ওপর কথা বলতে পারবে না। কিন্তু ভেঙে যাওয়ার পর পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে। যদি ভারত পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করতো তাহলে পাকিস্তানেরও পরমাণু অস্ত্র বানানোর প্রয়োজন হতো না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘৃণা কোথায় বেশি, ভারতে নাকি পাকিস্তানে? পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে অধিকাংশ পাকিস্তানিই হিন্দুস্তানকে সমর্থন দিয়েছিল কিন্তু অধিকাংশ হিন্দুস্তানি পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে পারেনি। আমি এর ওপর মত দিতে পারছি না যে ভারত ও পাকিস্তানের বিবাদের মূল কারণ কাশ্মীর ইস্যু। আর যতোক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়টি সমাধান না হবে এ দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। হিন্দুস্তানের আসল বিষয় কাশ্মীর নয়, পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যু সমাধান হলে ভারত-পাকিস্তানের ঘৃণা কমে আসবে তা নয়। এই ঘৃণা অটুট থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে। এই ঘৃণার মূল কারণ মূর্খতা। মূর্খতা এখানে যেমন রয়েছে, সেখানেও আছে। কিন্তু হিন্দুস্তানে এই মূর্খতা বেশি। দুই দেশেরই আসল বিষয় মূর্খতা। দুই দেশের শিক্ষিত মানুষরাই মূর্খদের দ্বারা পরিচালিত। দুই দেশেরই একে অপরের বিরুদ্ধে নয়, মূর্খতার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত। দৈনিক জং, জিও টিভি।



 

Show all comments
  • Md. abdus salam ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০২ পিএম says : 1
    Very intellectual writing. Tank you.
    Total Reply(0) Reply
  • Sanjay Dev ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:২৬ পিএম says : 1
    Right brother
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নামের ভারতীয় মিথ্যাচার বৈরিতা বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ