পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে তাদের নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হন সিআইডির সদস্যরা। যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা হলেন- জোসেফ, আয়শা, বাদল, বারী, মিন্টু ও ফয়সাল।
তবে রাত পৌনে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আজাদ রহমান। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে কিছু পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। না হয় আজ তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। এর আগে সিআইডির সদস্যরা গতকাল সকালে সচিবালয়ে গিয়ে তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষ (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) থেকে আলামত সংগ্রহ করেন এবং সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়নি, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, আমরা যেন ছায়া তদন্ত করি। সিআইডির টিম ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছে। এটা তদন্তের একটা অংশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে হয়তো আরও বিস্তারিত বলতে পারব।
স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিবের দাবি : এদিকে গায়েব হওয়া নথিগুলোতে তেমন গোপনীয় কোনো কিছু নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। তিনি বলেন, ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। এটা নিয়ে তেমন সমস্যা না। তবে মূল বিষয় হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া! গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগির একটি তথ্য জানতে পারবো, কারা কীভাবে কাজটি করেছে এবং কেন করেছে। কমিটি পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
গায়েব হয়ে যাওয়া ফাইলগুলো কীসের ছিল- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলো তেমন গোপনীয় কিছু নেই। প্রত্যেকটা ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে। এ তথ্য আমাদের কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। তবে মূল বিষয়টা হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কাউকে সন্দেহ করেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্দেহের বিষয়টা তো এখন বলাটা কঠিন। এখন আমরা সন্দেহের মধ্যে আছি। আমরা পুলিশকে সেভাবেই বলেছি, আপনারা সবাইকেই ইনক্লুড করবেন, যাতে আমরা তথ্যটা জানতে পারি, উদ্ধার করতে পারি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার এ জিডি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।