পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার থাবায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। ছাড় পাননি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. ওয়াহেদ হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানসহ মন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এখানেই শেষ নয়; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা-উপশাখার কর্মকর্তাদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেন, অনলাইনে ভার্চুয়ালি মিটিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন। ঘরে বসেই দাফতরিক সব কাজ সারছেন তিনি। আটকে নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, দুই সচিব করোনার কারণে আইসোলেশোনে আছেন। আক্রান্ত বহু কর্মকর্তা। তাই বাধ্য হয়েই বাসায় অফিস করছি। হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেই দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আক্রান্ত হওয়ার আগে প্রতিদিনই সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, হাসপাতাল পরিচালক, সিভিল সার্জন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনলাইন বৈঠকে দিক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন যা এখনো চলমান আছে বলে উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা যারা এখনো আক্রান্ত হয়নি তাদেরকে সুস্থ থেকেই কাজ করতে হবে। যারা অসুস্থ তারা তো এক মাস আসতে পারে না। তবে কাজ কিন্তু থেমে নেই, কাজ চলছে। একটা ফাইলও আটকে নেই, সব ফাইল আপডেটেড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই তদারকি করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় দেশে এখন প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে। থেমে নেই অফিস-আদালতের কোন কার্যক্রম। নতুন বৈশ্বিক সমস্যা, বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশকেও প্রযুক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে দিলো। সবকিছু অনলাইনে ভার্চুয়ালি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকার ঘোষিত সরকারি ছুটিকালীন সময়ে দুই সচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ সকল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, কর্মচারী কোনো ধরনের ছুটি ভোগ না করে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে এদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের সংস্পর্শে বা কাছাকাছি থাকায় আমাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকায় কেবিনেট সচিবও ২ বার কেবিনেট সভায় যোগদান না করার পরামর্শ দিয়েছেন তাকে। এমনকি একবার এক সভা থেকে চলেও এসেছেন বলে উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেও সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার শুরুতে একটি মাত্র টেস্টিং ল্যাব থেকে ইতোমধ্যে ৬৬টি টেস্টিং ল্যাবে পরিণত হয়েছে। শুরুতে ১০০ করোনা পরীক্ষা থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ থেকে ১৯ হাজারে উত্তীর্ণ হয়েছে। মাত্র ১৫ দিন সময়ে বসুন্ধরায় ২ হাজার বেড, উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ও উত্তরার দিয়া বাড়িতে মোট প্রায় ৩ হাজার বেড, আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, শিকদার মেডিকেলের মতো বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি শুধু ঢাকায় থাকা কিছু আইসিইউ সুবিধাকে কিভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পৌঁছে দিতে সক্ষম করা যায় সে ব্যবস্তা ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। মাত্র ১০ দিনে ২ হাজার নতুন চিকিৎসক ও প্রায় ৬ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৭০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের কাজ, মেডিকেল কলেজে অনলাইনে পড়ালেখা ও পরীক্ষা ব্যাবস্থার চেষ্টাসহ করোনায় স্বাস্থ্যখাতের সকল কার্যক্রমের তদারকি করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।