Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭ নথি গায়েব

শাহবাগ থানায় জিডি : তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব নথির বেশিরভাগই মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি খোয়া যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ জিডি করেন উপ-সচিব নাদিরা হায়দার। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নথি গায়েবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাা নেয়া হবে। তবে গায়েব হওয়া ফাইলের একাধিক কপি স্বাস্থ্য অধিদফতরে সংরক্ষণ রয়েছে। ফলে তেমন সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে হয় না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি হারানোর জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে সাধারণ ডায়েরিটি করা হয়েছে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। রোববার অফিস খুললে কাজ শুরু করবো।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ফাইল গায়েবের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি ইউনিট নিয়ে সচিবালয়ে যান। সিআইডি গতকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

স্বাস্থ্যা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যা শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যামন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেন, গত বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। রুম তালাবদ্ধ থাকার পরও ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। তবে ইতোমধ্যে সাধারণ ডায়েরি, স্বাস্থ্যা শিক্ষা বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করছে। সচিবালয় অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। সিসিটিভি নিরাপত্তার আওতায় আছে। স্বাস্থ্যামন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিগগিরই ক্লু পাওয়া যাবে। জড়িতদরে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাা নেয়া হবে। তবে গায়েব হওয়া ফাইলের একাধিক কপি স্বাস্থ্যা অধিদফতরে সংরক্ষণ থাকায় তেমন সমস্যায় পড়বে না স্বাস্থ্যা মন্ত্রণালয় বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) শাহ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যেরএকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) আহসার কবীর (অতিরিক্ত দায়িত্ব- ক্রয় ও সংগ্রহ অধিশাখা) এবং উপসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। কমিটির সদস্যদের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

৩০ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ