Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরগঞ্জে পুলিশের কাজে বাঁধা ও মারপিটের মামলায় ১৩ জন গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫২ পিএম | আপডেট : ৭:৫৩ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২১

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পারিবারিক মামলার এক বাদির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক এএসআই তোফাজ্জল হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করার পর পুলিশকে মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মামলায় ২০ জন নামীয় আসামিসহ গ্রামের ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে রোববার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আবদুল খালেক, আমজাদ আলী, সুমন মিয়া, বকুল মিয়া, মুকুল মিয়া, জহুরুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, আবদুর রাজ্জাক, হামিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নাজমুল হক ও রাজু মিয়া।পুলিশের এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্মপুর গ্রামের ছড়ারপাতা নামক স্থানে এক মামলার বাদির গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যান। পরে বাদির অভিযোগ শুনে ফেরত যাওয়ার সময় ওই নারীর ভাশুর মাসুদ মিয়া তোফাজ্জলকে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করেন। এরপর চিৎকার করে এলাকাবাসিদের একত্রিত করে তোফাজ্জলকে আটক করে উঠানের আম গাছে বেঁধে রাখেন। এরপর মাসুদসহ কয়েকজন তোফাজ্জলকে বেধরক মারপিট করে তার পকেটা থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি লুট করে নেন আসামিরা। খবর পেয়ে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে এএসআই তোফাজ্জলকে উদ্ধার করেন। মামলার বাদি কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মিজানুর রহমান জানান, 'গুজব ছড়িয়ে পুলিশ সদস্যকে আটকের পর গাছে বেঁধে নির্যাতন, অর্থ-সরঞ্জাম লুট, বাকি সদস্যদের উপর হামলার প্রস্তুতিসহ সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের ছড়ারপাতা নামক স্থানে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে যান কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এএসআই তোফাজ্জল হোসেন (৩৮)। পরে মামলার বাদি সৌদি প্রবাসির স্ত্রীর সাথে গোয়াল ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে উত্তেজিত জনতা এএসআই তোফাজ্জলকে আটক করে বাড়ির উঠানের একটি আম গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ও কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তোফাজ্জলকে উদ্ধার করেন। এঘটনায় এএসআই তোফাজ্জলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পরে ওই নারী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন ভাসুরের বিরুদ্ধে। সেই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এএসআই তোফাজ্জল হোসেন। সে সুবাদেই এএসআই তোফাজ্জল হোসেন সময়ে অসময়ে ছুটে যেতেন ওই নারীর কাছে। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান পুলিশের দায়ের করা মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ