বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করে বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির জানান, চমেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আকিব হোসেন (২০) সহ তিনজন ছাত্র আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত একদল ছাত্রলীগ কর্মী সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিতদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। তারা হলেন চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০)। রাতের ঘটনায় আহত দুজনই আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের একজন আকব হোসেন (২০) কে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।
এর পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়েন আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১ টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসেন নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় হাসপাতাল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং প্রধান ছাত্র হোস্টেলজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।