পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় হিন্দু স¤প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনাগুলো পরিকল্পিত বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এগুলোর জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বুধবার দিবাগত রাতে এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, তাদের কাজ-কর্মে এটা স্পষ্ট যে কুমিল্লা থেকে শুরু থেকে সারাদেশে তান্ডবের এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত, আর এ ঘটনাগুলোর মাস্টারমাইন্ড বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার একটি মন্ডপে কুরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায়ও হিন্দু স¤প্রদায়ের উপর হামলা হয়। এই সব হামলার একটি ভিডিওচিত্র বুধবার রাতে নিজের ফেইসবুক পাতায় পোস্ট করেন জয়, যার শিরোনাম ‘সা¤প্রদায়িক সহিংসতায় বিক্ষত বাংলাদেশ : জেঁকে বসেছে সেই পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা’।
জয় লিখেছেন, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টায়ে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সরলপ্রাণ অনেক মানুষকেও বিভ্রান্ত করে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। আর এজন্য ফেইসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও গুজব ছড়ানো হয়। এর সঙ্গে বিএনপি জড়িত দাবি করে তিনি লিখেছেন, বিএনপি নেতৃত্ব সারাদেশে হিন্দু স¤প্রদায়ের পাশে না থেকে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে, যেখানে তাদের ভূমিকা হওয়ার কথা ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা চায়নি, তারাই এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যগুলোও ধীরে ধীরে মুছে দিয়েছে পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল ও সরকারেরা। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে ধর্মের মনগড়া ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, স্বাধীনতার সত্য ইতিহাসকে ধামাচাপা দিয়ে একটি অসহিষ্ণু, বাংলাদেশকে অন্ধকারাছন্ন দেশে পরিণত করার চেষ্টা করেছে তারা বারবার। অমুসলিম জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে ভাঙচুর ও তান্ডবের মাধ্যমে নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সবসময়ই সচেষ্ট বিএনপি-জামাতের মতো পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। এবারের ঘটনাতেও ব্যতিক্রম নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।