Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নিশ্চুপ নেই রাষ্ট্র : হাইকোর্ট সা¤প্রদায়িক হামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

দূর্গাপূজায় মূর্তির পায়ে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে দেশের ৬ জেলায় হিন্দ্র সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা বিধানে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন।

রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী ২ মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সরকারপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। শুনানিকালে আদালত বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র নিশ্চুপ নেই।

শুনানির শুরুতে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিট পিটিশনে হিন্দু স¤প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। আমরা আবেদন থেকে এই শব্দগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র বসে নেই। কুমিল্লা, রংপুরে বেশ ক’জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ সময় বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা বলেন, হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশন নিয়েছে, মামলা হয়েছে। অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এ অবস্থায় আমরা কি রাষ্ট্রকে দায়ী করতে পারি? পরে আদালত রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়াকে আবেদন সংশোধন করতে বলেন এবং আদেশের জন্য দুপুর ২টা ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে দেন। পরে আদালত উপরোক্ত রুলসহ আদেশ জারি করেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর দেশের ৬টি জেলায় হিন্দু স¤প্রদায়, তাদের বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে ২৬ অক্টোবর রিট করা হয়। রিটে হিন্দু স¤প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু স¤প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করে এমন সব পোস্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস এ রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ ১৯ জনকে বিবাদী করা হয়। রিটে সা¤প্রদায়িক হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৪:৪১ এএম says : 0
    নিশ্চুপ নেই রাষ্ট্র,হাইকোর্ট সম্পদায়ীক ঘটনার বেবসতা নিতে বলেছেন,সুন্দর বলেছেন হাইকোর্ট,এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন,আমরা মাননীয়,হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্ট কে উনাদের আদেশকে সম্মান করি,কিন্তু আমরা জনগণ সমমানের সাথে জানতে চাই,এই তদন্ত কে করবে,আজ যদি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি থাকতো,রাষ্ট্র পতির পর ক্ষমতা ছিল,মাননীয়,প্রধান বিচার পতির আমরা জনগণ দেখেছি উনি নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে প্রশাসন তাতক্ষনিক তদন্ত করতেন ,এবং সব কিছু সমাধান হতো,বর্তমানে মাননীয়,হাইকোর্টের আদেশ অথবা নির্দেশ কাকে দিবে এবং কে এই আদেশ পালন করবেন,বর্তমানে দেশে সংসদীয় শাসন বেবসতা,এবং সংসদীয় শাসন বেবসতা হলে ও এক দলীয় আমলাতান্ত্রিক যেমন জনগণের ভোট ছাড়া 150 জন এম পি নিয়ে এই দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদ ,বর্তমানে এদের হাতেই রাষ্ট্রের সব কিছুর দায়িততো এবং পুলিশ হইতে মোটামুটি সব প্রশাসন এদের দায়িততো,এখন প্রশাসন এদের কথা মেতাবেক তদন্ত করবেন না কি,মাননীয়,হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করবেন,বিষয়টি আমরা জন গন বুজার বেবসতা করলে আমরা কৃতজ্ঞ হবে,...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিভাগীয় তদন্ত

৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ