পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, খাদ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, কৃষি সচিব, অর্থ সচিব এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। গত রোববার ঢাকায় পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ইনু টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দের অধিকাংশই লুটপাট হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন। এই দুর্নীতির জন্য তিনি প্রধানত সংসদ সদস্যদের দায়ী করেন। ওই বক্তব্য নিয়ে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশের পর সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ইনু, প্রত্যাহার করেন তার বক্তব্য। তার একদিন বাদে ওই বক্তব্য ধরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জে এন দেব চেšধুরীর বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। ওই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, আবেদনের একটি কপি তাদের হাতে এসেছে। বিষয়টি কার্য তালিকায় আসার পর শুনানি হবে।
আবেদনে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে টিআর-কাবিখা কেন বণ্টন করা হয় এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বণ্টনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনের বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংসদ সদস্যরা আইন প্রণয়ন করবেন। আর স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কার্য ও সরকারি বরাদ্দ বণ্টনের দায়িত্ব হচ্ছে স্থানীয় প্রতিনিধিদের। অথচ সংসদ সদস্যদেও পেটে সেই বরাদ্দের বেশিরভাগ অর্থ চলে যাচ্ছে। সংসদ সদস্যদের এ ধরনের দায়িত্ব পালন সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গরিবের হক যাতে কেউ অবৈধভাবে গ্রাস করতে না পারে, এ কারণেই জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন, ‘সাধারণত দুস্থ ও গরিব মহিলারা কাজের বিনিময়ে খাদ্য নিয়ে থাকে। সেই খাদ্য সংসদ সদস্যদের গ্রাস করা অমানবিক, সংবিধানের পরিপন্থী। এ ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যদের বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।