নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন কুইন্টিন ডি কক। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) তাদের খেলোয়াড়দের বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে মাঠে হাঁটু গেঁড়ে বসার নির্দেশনা দেওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এক বিবৃতিতে অবশেষে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সতীর্থ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভক্ত-সমর্থকদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে খেলার জন্য তৈরি থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সিএসএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে ডি কক বলেছেন, তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে, ‘আমি আমার সতীর্থ এবং দেশে থাকা ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে শুরু করতে চাই। আমি কখনোই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে “কুইন্টন” ইস্যু বানাতে চাইনি। আমি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর গুরুত্ব বুঝি এবং খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের যে উদাহরণ তৈরি করার দায়িত্ব রয়েছে, সেটাও বুঝি। আমি বর্ণবাদী নই। আমি মন থেকে এটা জানি। আর আমি মনে করি, যারা আমাকে চেনেন, তারাও সেটা জানেন। আমি জানি, আমি খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। তবে নিজেকে জড়িয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করায় আমি কতটা দুঃখিত তা ব্যাখ্যা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
গত মঙ্গলবার দুবাইতে মুখোমুখি হয়েছিল আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের টসের সময় ডি ককের না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনি তখন বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সে সরে দাঁড়িয়েছে।’ এরপরই উঠে আসে ডি ককের হাঁটু মুড়ে বসতে অসম্মতির বিষয়টি। বিবৃতিতে বাঁহাতি তারকা ডি কক বোর্ডের নির্দেশনা মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, ‘যদি আমার হাঁটু গেড়ে বসা অন্যদের শিক্ষিত করতে সাহায্য করে এবং তাদের জীবনকে আরও ভালো করে তোলে, তাহলে আমি তা করতে পেরে খুশির চেয়ে বেশি কিছু হব।’
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে না খেলার মাধ্যমে কাউকে অসম্মানিত করার প্রয়াস ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলে কাউকে অসম্মান করতে চাইনি। বিশেষ করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের তো নয়ই। আমি যে সমস্ত আঘাত, বিভ্রান্তি ও রাগের কারণ হয়েছি, সেসবের জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত।’
নিজের পরিবারের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন ডি কক, ‘যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি, আমি যে পরিবার থেকে উঠে এসেছি, সেটা মিশ্র জাতির। আমার সৎ বোনেরা শ্বেতাঙ্গ নন। আমার সৎ মা কৃষ্ণাঙ্গ। তাই কেবল একটা বৈশ্বিক আন্দোলনের জন্য নয়, “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার” জন্ম থেকেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’ তাহলে কেন বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে হাঁটু গেঁড়ে প্রতিবাদ জানাতে আপত্তি? তার মতে, ‘সকল মানুষের অধিকার ও সমতা যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে ঊর্ধ্বে। বেড়ে ওঠার সময় আমাকে বোঝানো হয়েছে, আমাদের সবার অধিকার আছে এবং সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমাকে বলা হয়েছিল (বোর্ডের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা অনুসারে), আমাদের সেভাবেই (প্রতিবাদ) করতে হবে, যেভাবে আমাদেরকে বলা হয়েছে, তখন আমি অনুভব করেছি, আমার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি প্রকাশ করলেও ডি ককের ব্যাখ্যার কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও জানায়নি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর উইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই ম্যাচ থেকেই দলের সঙ্গে নিজেকেও বর্ণবাদে প্রতিবাদে হাঁটু গেড়ে বসতে দেখা যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন ডি কক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।