বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আমল মৃধার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মালের বাড়ীতে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিজ বাড়ী উত্তর চরফতে বাহাদুরপুরে হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ ৭ জনকে আহত হয়। আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগে জানা যায়, দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর চরফতে বাহাদুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করে। সভাস্থল থেকে মাত্র একশ’ মিটার দক্ষিণে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মালের বাড়ী থাকায় হঠাৎ উত্তেজিত জনতা সভাস্থল থেকে শ্লোগানসহ তার বাড়ীতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা নিজে ও তার দুই সন্তান কয়েকশ কর্মী-সমর্থকসহ হামলায় অংশ নেয়ারও অভিযোগ উঠে।
এসময় বিক্ষুব্ধদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ (৬৭), বোন মুর্শীদা বেগম (৫৫), ছোট বোন শিশির আক্তার (৪৮), ছোট ভাই মনির মাল (৩০), চাচাতো ভাই রোমান মাল (২২) ও ফরহাদ মাল (৪০)সহ ৭ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সুস্থ্য তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবী করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হল মাল। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন।
এব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মাল জানান, ‘আমার বাড়ীতে এসে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা, তার দুই ছেলে সিফাত মৃধা ও মিঠু মৃধা সাথে অন্যান্য লোকজন মিলে হামলা চালায়। হামলায় আমার ভাই-বোনসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। এর আগেও তার কর্মী বাহিনী আমাদের উপর হামলা করেছে। সে বিষয় কালকিনি থানা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করেছি। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করি।’
অভিযোগের বিষয় আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ীর সামনে গিয়ে স্কুল মাঠে যাচ্ছিলাম। এসময় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। আমরা তাদের উপর কোন হামলা বা কাউকে মারধর করেনি। নৌকার জয় হবে, এটা তার সহ্য হচ্ছে না। আমি তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
এব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, ‘ঘটনার পর দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক মাল একদিন আগে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেটা এবিষয়ে নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।