বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা পলাশ মাহমুদ হত্যায় মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান সহিদ ও তার দুই ভাইসহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোল্যাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত পলাশ মাহমুদের মা পলি বেগম বাদী হয়ে ঘটনার তিনদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে লোহাগড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তবে হত্যাকান্ডের তিন দিন পরেও কোন আসামি আটক হয়নি। পলাশ উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের খোকন শেখের ছেলে এবং লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য। সে লোাহাগড়া বাজারের একজন ফল ব্যবসায়ী। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে পলাশ মাহমুদকে আসামিরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে পলাশ মাহমুদের দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ছাড়া আসন্ন মল্লিকপুর ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে এই শত্রুতা চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে পলাশ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পলাশ মাহমুদ লোহাগড়া থেকে চরমল্লিকপুর গ্রামের রুবেল শেখের দাওয়াতে বন্ধু সুরবান, আলিমুল, ইনামুল, সাঈদীকে সাথে নিয়ে ওই গ্রামের আরেক বন্ধু ইমরানের বাড়িতে খেতে যায়।
এ সময় দুর্বৃত্তরা কৌশলে পলাশকে ডেকে নিয়ে রাস্তার পাশে ইমরানের দোকানের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুখ, মাথা, ঘাড় ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ীভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী পলাশকে উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি আবু হেনা মিলন জানান, পলাশ হত্যায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।