বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আলোচিত কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ কর্মী সামসুদ্দোহা সাদিকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞতিতে নিশ্চিত করেছে সিআইডি। সামসুদ্দোহা সাদি দক্ষিণ সুরমার সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মূল ফটকের ভেতরে ছুরিকাঘাতে খুন হন পুরান তেতলি গ্রামের সুরমান মিয়ার ছেলে ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত।
এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার রাতে রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাদিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তানভির এবং আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানির।
সূত্রে জানাগেছে, রাহাতকে ছুরিকাঘাতের পরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি স্থানীয় বাজারে আশ্রয় নেয় সাদি ও তার সহযোগীরা। তখনও তিনি জানেন না রাহাত মারা গেছেন। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাদির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ওই বাজারে উপস্থিত হয়। কিন্তু রাহাত নিহতের খবর পেয়েই মোবাইল ঠোন বন্ধ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় কিলার সাদি। ফলে পুলিশ সাদির কাছাকাছি এসেও তাকে ধরতে পারেনি। এরপর থেকেই পালিয়ে চলে যায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তর্তী ফিলিপনগর ইউনিয়নে। পাশেই ছিলো ভারতীয় সীমান্ত, মাঝখানে একটি নদী। সীমানা পেরিয়ে ভারতে পালানোর সব পরিকল্পনা সেরে নিয়েছিলেন সাদি। কিন্তু তার সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।