পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণফোরামের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ নামে দলটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রেজা কিবরিয়াকে এবং সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। প্রাথমিকভাবে গঠিত ৮৩ সদেস্যর আহ্বায়ক এই আহ্বায়ক কমিটির বাকি সবাই নূরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের বর্তমান ও সাবেক নেতা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফকিরাপুলের জামান টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে সাবেক ভিপি নূর বলেন, আমরা যখন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি তখন পৃথিবী দুইটি বড় সংকট মোকাবিলা করছে। আজকে সবার সম্মুখে দাঁড়িয়ে এই প্রত্যয় ঘোষণা করছি যে, আমরা নানান ক্ষেত্রে সৃষ্টি হওয়া বহুস্তরবিশিষ্ট বৈষম্য লাঘব করে বাংলাদেশকে মানবিক উন্নয়নের প্রগতিশীল ধারায় প্রতিষ্ঠা করব ইনশাল্লাহ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নতুন দলের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি নির্বাচন কমিশন নিয়ে আন্দোলন করা তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। আমাদের আসল দাবি হলো, আমরা একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। এটা ছাড়া নির্বাচনে নামার কোনও মানে হয় না। যারা এর আগে দুইবার প্রতারণা করেছে তারা যে আবার করবে না, সেটার ভরসা আমি করি না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে অন্য সব দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো। আমি আশা করি, দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, কার সঙ্গে জোট করবো সেটা তখনকার পরিস্থিতি দেখে আমরা ঠিক করবো। আমাদের পরিকল্পনা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়া। তবে পরিস্থিতির ওপর তা নির্ভর করছে। এ সময় রেজা কিবরিয়া আরও জানান, দলটি যেহেতু গণমানুষের সেহেতু গণমানুষের টাকায় এই দল পরিচালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ‘জনতা অধিকার, আমাদের অধিকার’ এই শ্লোগান সামনে রেখে গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ- এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়। দলটির যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের উত্থাপিত ২১ দফা রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ, ক্ষমতার ভারসাম্য, ন্যায় বিচার,সুশাসন, ভোটাধিকার, সংখ্যালঘু জাতি সত্ত্বা ও ধর্মাবলম্বী, দখল, দুষণ প্রতিরোধ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ ও সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম।
নতুন দলের নতুনত্ব কী হবে? জানতে চাইলে নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশে বড় দুটি দলের রাজনীতি পরিবারকেন্দ্রিক। কারও বাবার পরে মেয়ে, কারও স্বামীর পরে স্ত্রী। আমাদের দল কখনো রেজা কিবরিয়া ও নুরুলের দল হবে না। এখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে পরবর্তী নেতৃত্ব ঠিক হবে। আমরা গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের কথা বলছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।