বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। ১০ জন নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাশাপাশি আরো ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। ইতোমধ্যে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে প্রার্থীদের উপর পালাক্রমে হুমকি ও নির্যাতন শুরু হয়েছে। মারধর করা হচ্ছে প্রার্থীদের সমর্থকদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়ছে।
ডোমসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান খান জানায়, ২১ অক্টোবর প্রার্থীতা যাচাই বাছাইর হবে। ২০ অক্টোবর বুধবার রাত ৮টায় নৌকা মনোনীত প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খানের লোকজন তার নির্বাচনী ক্লাব, বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তখন শতাধিক চেয়ার- টেবিল, ৬টি মোটরসাইকেল ও অটো গ্যারেজ ভাংচুর করে। তখন হামলাকারীরা ১০ জনকে গুরুতর আহত করে লুটপাটও করেছে। তিনি আরো জানায়, মনোনয়নপত্র জমা করার পর থেকেই তার উপর হুমকি আসতেছিল। হুমকিদাতাদের একই দাবী মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে। আমি জনগণের সমর্থন ও দোয়া নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। জনগণ আমার পাশে থাকলে আমি নির্বাচনে থাকব। জনগণের মূল্যবান ভোটে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব।
আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান জানায়, ইউনিয়নবাসীর কাছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি গত নির্বাচনেও নৌকার প্রতিপক্ষ হয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এবার তার জনপ্রিয়তা আরো বেশী। তা দেখে নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কারণে অকারণে আমার সমর্থকদের উপর নির্যাতন চালায়। গত ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের তুলাতলা বাজারে আমার সমর্থক মুজাম সরদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি দিয়ে আসছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে আহত মুজাম সরদার জানায়, তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারের সমর্থক। তাকে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়। তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তুলাতলা বাজারে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে নৌকা প্রার্থীর লোকেরা। ডোমসারেও নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের নির্যাতনের শিকার আমির হোসেন জানায়, নৌকা প্রতিকের অযোগ্য প্রার্থীর নির্বাচনে গেলে তাদের কোন সমস্যা হয় না। জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলেই মার খেতে হয়।
আংগারিয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, নৌকার পক্ষে জোয়ার দেখে বিদ্র্রোহী প্রার্থী পরিকল্পিত ভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের লোকদের উপর হামলা করেছে। আমি বা আমার কোন সমর্থক এই হামলার সাথে জড়িত না। অপর প্রার্থী মিজান মোহাম্মদ খানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুতাতে এড়িয়ে যান।
পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন বলেন, ডোমসারে দুই পক্ষের হাজারেরও বেশী লোকজন সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এর পূর্বে এক প্রার্থীর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আংগারিয়ায়ও একটি ঘটনা ঘটে সেখানে একজন আহত হয়েছে। তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।