মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার সরকার একটি খসড়া আইন অনুমোদন করেছে। যেখানে সে দেশে গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রীলঙ্কার গবাদি দুগ্ধ-শিল্প উপকৃত হবে। মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর খসড়া আইনটিকে অনুমোদনের জন্য এখন সংসদে তোলা হবে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য আনিয়েছে ডেইলি নিউজ।
দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ মুসলমান এবং অন্যান্য খ্রিস্টান, কিছু বৌদ্ধ এবং হিন্দুরাও গরুর মাংস খান। সরকারের সমালোচকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার গোমাংসের ব্যবসা এবং হালাল সার্টিফিকেশনের নিয়ন্ত্রণ মুসলমানদের হাতে। ফলে তারাই এই প্রস্তাবিত আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছেন।
তবে দেশটির সরকার বলছে, গরু জবাই বন্ধ করার পক্ষে বিভিন্ন দল অবস্থান নিয়েছে। তাদের যুক্তি, কৃষিকাজ এবং দুগ্ধ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় গরু দেশে নেই।
এদিকে সমালোচকদের উদ্ধৃত করে বিবিসি সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু মুসলমানদের লক্ষ্য করে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ তারাই গরুর গোস্তের প্রধান ভক্ষক।
শ্রীলঙ্কার কট্টরপন্থী সিংহলী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলি গোমাংস নিষিদ্ধ করার সরকারি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু দেশ। জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ লোক এই ধর্মের অনুসারী। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষই মাংসভোজী। তবে বৌদ্ধদের একাংশ গরুকে পবিত্র-জ্ঞান করেন এবং তারা গরুর গোস্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় গরু জবাই নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব প্রথম উঠেছিল ২০০৯ সালে। সে সময় একজন সংসদ সদস্য ভিজেদাসা রাজাপাক্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সংসদে তুলেছিলেন। তবে সে সময় প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়নি।
এরপর ২০১২ সালে ক্যান্ডি শহরের কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকার মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে। পরের বছর এ নিয়ে বিতর্কটি তীব্র আকার ধারণ করে যখন গরু জবাই নিষিদ্ধ করার দাবিতে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
এরপর কট্টরপন্থী দুটি সিংহলী বৌদ্ধ সংগঠন সিনহালা রাভায়া এবং বদু বালা সেনা একে তাদের আন্দোলনের একটি প্রধান বিষয়বস্তুতে পরিণত করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে ২০১৬ সালের প্রস্তাবটিকে নতুন করে সংসদে তুলে আনেন এবং আইন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করেন। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।