বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী (২৬) নামে বিদ্যুৎ মিস্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৭ দিন পর আজ সোমবার আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত ওই যুবকের ভাই আব্দুল্লাহ গাজী পরিকল্পিত ভাবে হত্যার আভিযোগে স্থানীয় দোকানী ফাতিমা বেগম (৩৫) কে প্রধান আসামী করে ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (এমপি কেস-৫৫২/২১) করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর ‘পিবিআই’ কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। ইমরান গাজী পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের মৃত. মন্নান গাজীর ছেলে।
মামলা সুত্রে ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নিহত ইমরান গাজী সবুজ নগর গ্রামে আউয়াল শরীফ এর নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুতের কাজ করতো। ওই ভবন সংলগ্ন ফাতিমা বেগমের দোকানে চা-নাস্তা করার সুবাদে ফাতিমা বেগমের সাথে ইমরান গাজীর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে বিদ্যুতের লাইনের কাজ দ্রুত করার জন্য কেয়ারটেকর ইলিয়াসের সাথে ইমরান গাজীর বিরোধ হয়। কেয়ারটেকর ইলিয়াস ইমরান গাজীকে ঘায়েল করার জন্য ফাতিমা বেগমের ছেলে হাসানকে তার মা এবং ইমরান গাজী সম্পর্কে অপত্তিকর কথা বলেন। এতে সকলে ইমরানকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং গত ১১ অক্টোবর চা ও জুসের সাথে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে ইমরানকে পান করায়। পরে ইমরান গাজীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে নির্মাণাধীন ওই ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যান লাগানোর রডের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ ওই দিন (সোমবার) নিহত ইমরান গাজীর লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠায়। পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহ ভাজন হিসেবে ১১ জনকে আটক করলেও ফাতিমা বেগম ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেয়। ফাতিমা বেগম ওই সবুজ নগর গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী।
নিহত ওই যুবককের ভাই আব্দুল্লাহ গাজী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি এমকি তার নিহত ভাইয়ের শরীরের আঘাত গুলো তাদেরকে না দেখিয়ে লাশ দ্রুত মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এডভোকেট নাসরিন জাহান বলেন, থানায় মামলা না নেয়ায় নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ গাজী ৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালত মামলটি আমলে নিয়ে ‘পিবিআই’ কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।