মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ এমপি স্যার ডেভিড অ্যামেসকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির মুসলিম নেতৃবৃন্দ। সাউথএন্ডের সমস্ত মসজিদ থেকে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে মুসলিমরা একে ‘অনস্বীকার্য নৃশংসতা’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। কারণ পুলিশ বলেছিল যে, এই হামলা ইসলামী চরমপন্থার সাথে যুক্ত হতে পারে।
ধর্মীয় নেতারা বলেন, পাঁচজন সন্তানের জনক ও এমপি স্যার ডেভিড ছিলেন ‘আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন ভাল বন্ধু’ এবং তিনি বিয়ে, মসজিদ উদ্বোধন এবং শহরের প্রথম মুসলিম স্কাউট গোষ্ঠীর উদ্বোধনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ডিন হেইডন, দেশের সবচেয়ে সিনিয়র কাউন্টার টেররিজ অফিসার, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে ‘ইসলামী চরমপন্থার সাথে যুক্ত একটি সম্ভাব্য প্রেরণা’ প্রকাশ পেয়েছে।
শুক্রবার অ্যাসেক্সের লে-অন-সি শহরের বেলফেয়ার্স মেথোডিস্ট চার্চে নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার সময় হামলাকারীর একাধিক ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬৯ বছর বয়সী অ্যামেসের। হত্যার সন্দেহে ঘটনাস্থলে গ্রেপ্তার হওয়া ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে এসেক্স থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এসেক্স জামে মসজিদ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে, ‘সমস্ত সাউথএন্ড মসজিদের’ পক্ষে মুসলিমরা বলেন যে, তাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা স্যার ডেভিডের পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথে ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্যার ডেভিডের হত্যা একটি ভয়াবহ নৃশংসতা ছিল, যা একটি উপাসনালয়ের ভিত্তিতে সংঘটিত হয়েছিল এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’ তারা বলেন, ‘এই কাজটি অন্ধ বিদ্বেষের নামে সংঘটিত হয়েছিল এবং আমরা অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
সাউথএন্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা স্যার ডেভিডকে শ্রদ্ধা জানান। এসেক্স জামে মসজিদের যুগ্ম সচিব রুহুল শামসুদ্দিন এমপিকে ‘আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য ভাল এবং সমর্থনের স্তম্ভ’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি সত্যিই একজন অসাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক সহিংসতা ছিল।’ ইউকেআইএম সাউথএন্ড মসজিদের ইমাম ইফতিখার উল হক এবং ইউকেআইএম সাউথএন্ড মসজিদের সভাপতি ডক্টর আরশাদ ঘুরি বলেন, স্যার ডেভিড ‘সর্বদা সহজলভ্য, তিনি সম্প্রদায়ের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন এবং সর্বদা সমর্থন দেয়ার জন্য ছিলেন’। ফাইজানে মদিনা মসজিদ সাউথএন্ডের সেক্রেটারি ইবরার আজম বলেন, স্যার ডেভিডের মৃত্যুতে তিনি ‘শোকাহত’।
এদিকে, ইরানের একটি বিরোধী দল স্যার ডেভিডকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, তাকে ‘মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘অনেক স্বৈরশাসকের শত্রু’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। হোসেন আবেদিনী ইরানের জাতীয় প্রতিরোধ কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন সদস্যের মধ্যে ছিলেন যিনি এমপি এর চার্চের কাছে ফুল এবং ফ্রেমযুক্ত ছবি রেখেছিলেন যেখানে তিনি মারা গিয়েছিলেন। আবেদিনী বলেন, ‘ইরানের জনগণ, ইরানে সংঘটিত বিদ্রোহ, ক্যাম্প আশরাফে ইরানি শরণার্থীদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে স্যার ডেভিডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।’
সাউথেন্ড কাউন্সিলর জন ল্যাম্ব বলেন, স্যার ডেভিড ‘অনেক শরণার্থীকে সাহায্য করেছিলেন’। তিনি বলেন, ‘লন্ডনে কিছু ইরানি আছেন, তিনি প্রায়ই তাদের নিজের দেশে এমনকি পরিবার এবং সমস্যার জন্য সাহায্য করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা স্যার ডেভিডকে সম্মান করত এবং এ ঘটনায় তারা আমাদের মতই শোকাহত।’ সূত্র: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।