পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিল এবং মন্দিরে হামলার ঘটনায় সাধারণ জনতা ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চার যুবক ও এক কিশোর নিহত হয়েছে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া (ত্রিনয়নী) পূজা মন্ডপে ও আশ্রম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরপুর বাগডাঙা এলাকার সামছুল ছেলে বাবলু, হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনী মুড়ার শুকু কমিশনার বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন ও একই ওয়ার্ডের সেকান্দর বেপারী বাড়ির মো. ফজলুর ছেরে হৃদয়, রান্ধুনীমুড়া গ্রামের শামীম, রায়চোঁ গ্রামের মানিক সাহা। মৃত্যুর বিষয়টি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন।
হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, এশার নামাজের পর আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে জনতা মিছিল নিয়ে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া ও পাশবর্তী আশ্রমে হামলা করে। এ সময় পুলিশ এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা ও পুলিশের একটি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারীসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর আহত বাবলু, আল-আমিন ও হৃদয়কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়। এবং শামীম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারনুর রশিদ বলেন, দলবদ্ধ জনতার হামলায় পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।