নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তবুও কিছুটা লড়াই করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেটাও সম্ভব হলো না। মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম করলেন খরুচে বোলিং। পরে ব্যাটিং হলো আরও হতাশাজনক। দুই বিভাগেই ব্যর্থতায় বড় হার দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল ৪ উইকেটে। গতকাল দ্বিতীয় ও শেষ অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৩ রানে হেরেছে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবহীন টাইগার শিবির। গ্যারেথ ডেলানির বিস্ফোরক ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। এক বল বাকি থাকতে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচে ফল গুরুত্ব পায় কমই। ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিটাকেই দেখা হয় বড় করে। সেখানে নেই তেমন কোনো সুখবর। রানের দেখা নেই মুশফিকুর রহিম, শামীম হোসেন, আফিফ হোসেনদের ব্যাটে। বাংলাদেশের মাত্র চার ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেন দুই অঙ্ক। তাদের কেউ যেতে পারেননি ৪০ পর্যন্ত। নেই কোনো পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। আর বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশ‚ন্য মুস্তাফিজ। আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল দেন ৪১ রান। ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নাসুম পান একটি উইকেট। তবে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন আহমেদ।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ নাঈম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে বোল্ড হয়ে ফিরেন লিটন দাস। তৃতীয় ওভারে ফিরে মুশফিককে বোল্ড করে দেন ক্রেইগ ইয়াং। ১৫ রানে নেই ৩ উইকেট। নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন আফিফ হোসেন। সবে একটা জুটি গড়ে উঠছিল, এমন সময়ে ফিরে যান আফিফ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শট খেলতে শুরু করেন সৌম্য। তবে যেতে পারেননি বেশিদূর। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন রান আউট হয়ে। ৩০ বলে খেলা তার ৩৭ রানের ইনিংসে দুই ছক্কার পাশে চার একটি।
ওভার প্রতি প্রয়োজন যখন ১০ করে তখন শামীম ৭ বল খেলে আউট হন ১ রান করে। নিজের মতো করে খেলে ব্যবধান কমান নুরুল হাসান সোহান। ৬ চারে ২৪ বলে এই কিপার ব্যাটসম্যান করেন সর্বোচ্চ ৩৮। শেষের দিকে এক চারে ১৪ রান করে বাংলাদেশকে দেড়শর কাছে নিয়ে যান তাসকিন আহমেদ।
এর আগে আবু ধাবিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং। প্রথম ওভারে তাসকিনকে বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান মারেন টানা দুই চার, চতুর্থ ওভারে নাসুমকে তিনটি। নাসুমের ওই ওভারেই ফিরে যান বোল্ড হয়ে। অষ্টম ওভারে অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে বোল্ড করে থামান পেসার তাসকিন। দশম ওভারে ফিরে তিনি বিদায় করেন জর্জ ডকরেলকে।
এরপর আর কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। শুরুতে দলে ছিলেন না শরিফুল। তবে তাকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত চার ওভারই করায় বাংলাদেশ। শেষটায় তিনি কিংবা মুস্তাফিজ কেউ বাঁধ দিতে পারেননি রানের গতিতে। শেষ ১০ ওভারে ৯৭ রান যোগ করে আয়ারল্যান্ড, শেষ ৪ ওভারে ৫৩। এতে অগ্রণী ভূমিকা ছিল ডেলানির। ৫০ বলে আট ছক্কা ও তিন চারে এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৮৮ রানে। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ৬২ বলে ৯৯ রানের জুটিতে হ্যারি টেক্টরের অবদান ২৩ বলে ২৩ রান।
আইপিএল থেকে ফেরা মুস্তাফিজ চার ওভারে হজম করেন চার ছক্কা, শরিফুল তিনটি। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তাসকিন। এই পেসারের কোটা ১০ ওভারের মধ্যেই শেষ করিয়ে ফেলেন অধিনায়ক। মেহেদি হাসান ৩ ওভারে দেন কেবল ১৫ রান। নবম ওভারের পর তিনি আর বল হাতে পাননি।
দেশ ছাড়ার পর থেকে পিঠের ব্যথায় কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচেই বিশ্রাম ছিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। আইপিএলে খেলার জন্য এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি সাকিব আল হাসান। তাই পূর্ণ শক্তি নিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলেই আগামী রোববার বিশ্বকাপ অভিযানে নেমে পড়তে হবে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী দিনে তাদের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড : ২০ ওভারে ১৭৭/৩ (স্টার্লিং ২২, বালবার্নি ২৫, ডেলানি ৮৮*, ডকরেল ৯, টেক্টর ২৩*; তাসকিন ৪-০-২৬-২, মেহেদি ৩-০-১৫-০, নাসুম ৩-০-৩৩-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৪০-০, শরিফুল ৪-০-৪১-০, সৌম্য ২-০-১৩-০)।
বাংলাদেশ : ১৯.৫ ওভারে ১৪৪ (নাঈম ৩, লিটন ১, সৌম্য ৩৭, মুশফিক ৪, আফিফ ১৭, সোহান ৩৮, শামীম ১, মেহেদি ৯, তাসকিন ১৪, নাসুম ০, মুস্তাফিজ ৭*; ইয়াং ৩-০-২১-২, লিটল ৪-০-২২-২, সিমি ৪-০-১৯-১, অ্যাডায়ার ৪-০-৩৩-৩, হোয়াইট ৪-০-৩৭-১, ডেলানি ১-০-৯-০)।
ফল : বাংলাদেশ ৩৩ রানে পরাজিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।