নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : দু’দলের শক্তির তারতম্য এতটাই যে, ম্যাচে নামার আগেই সিসিএসের বিপক্ষে ভিক্টোরিয়ার অবধারিত জয় ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে হাওয়ায় উড়তে থাকা ভিক্টোরিয়ার সামনে এককভাবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠার হাতছানি ছিল বলেই আত্মতুষ্টি ভর করেছে দলটির ওপর। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে শতবর্ষী এই ক্লাবটির। ফতুল্লায় মাত্র ২ দিন আগে কলাবাগান একাডেমীর কাছে আবাহনীর হার দেখেও শিক্ষা নেয়নি ভিক্টোরিয়া। পচা শামুকে পা কেটে গেছে তাদের। অবনমনের অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকা সিসিএস শেষ পর্যন্ত হারের বৃত্ত ভেঙে প্রথম জয়ে বেছে নিয়েছে ভিক্টোরিয়াকে। বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ভিক্টোরিয়াকে ৫৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে এই স্বল্প বাজেটের দলটি।
ফতুল্লায় টসে জিতে উপরের সারির চার ব্যাটসম্যানের (পিনাক ৪২, রাজিন ৪২, সাইফ ৭৮, সালমান ৪১) সময়োচিত ব্যাটিংয়ে সিসিএসের ২৫৯ স্কোরের জবাব দেয়ার জন্য রসদ হাতে ছিল ভিক্টোরিয়ার। তবে বাধ সেধেছেন সিসিএসের বাঁ হাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই স্পিনারের প্রথম স্পেলই ( ৬-১-১৪-৩) ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলেছে ভিক্টোরিয়াকে। আকাশে ঘন মেঘ দেখে যেখানে রান বাড়িয়ে নেয়ার কথা ভিক্টোরিয়ার, সেখানে হয়েছে উল্টো। বৃষ্টিতে আক্রান্ত হওয়ার আগে স্কোরশিটে ৯৯ উঠতে (১৮ ওভারে) নেই ভিক্টোরিয়ার ৬ উইকেট! শাওনের বিধ্বংসী ওই স্পেলের ভিক্টোরিয়া প্রচ- ঝাঁকুনি খেয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বৃষ্টির পর পরিবর্তিত টার্গেটটা (৩৫ ওভারে ২৫৩) আরো কঠিন করে দিয়েছে ভিক্টোরিয়াকে। বৃষ্টির পর শেষ ১৭ ওভারে ১৫৪ রানের লক্ষ্য মাথায় রেখে ব্যাট করতে এসে চেস্টার ত্রুটি করেননি অধিনায়ক নাদিফ। ২৬তম ওভারে রাজিন সালেহ’র উপর চড়াও হয়ে পর পর তিন বলে ৬,৪,৬ মেরেছেন, শেষ ছক্কায় করেছেন ফিফটি উদযাপন (৪৪ বলে ৪ চার ৩ ছক্কা)। তবে পরের বলে একই শট নিতে যেয়ে উইকেট দিয়ে আসার পর লড়াই কিছুক্ষন চালিয়েছেন ভিক্টোরিয়া টেল এন্ডার ডলার, সালমানকে এক ওভারে ২ চার ১ ছক্কায়ও ভিক্টোরিয়াকে বড় কিছুর আশা দেখাতে পারেননি। ৩৫ ওভারই পার করতে পারেনি ভিক্টোরিয়া। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা বোলিংয়ে (৪/১৫) বাঁ হাতি স্পিনার সালেহ আহমেদ শাওন উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন ভিক্টোরিয়াকে! ৭ম ম্যাচে ভিক্টোরিয়ার এটি দ্বিতীয় হার (৯ পয়েন্ট), অন্যদিকে প্রথম জয় সিসিএসের (২ পয়েন্ট)।
বিকেএসপিতে এদিন ম্লান হয়েছে মাসাকাদজার সেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডীর বিপক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি এবং সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ড থেকে উজ্জীবিত হতে পারেননি মাশরাফি। শুরুটা নিজের উইকেটহীন বাজে বোলিং দিয়ে (৯-০-৭৩-০), পাঁচটি ওয়াইড ডেলিভারী পর্যন্ত দিয়েছেন এদিন। যার মধ্যে দ্বিতীয় স্পেলটি ছিল যাচ্ছে-তাই (৫-০-৪৯-০)। বন্ধু বাঁ হাতি স্পিনার রাজের বোলিংটাও কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে আশ্বস্ত করতে পারেনি (২/৫৮)। ইমরুল (৬৭)-তুষার ইমরানের (৭৭) ১২৬ রানের পার্টনারশিপে ভর করে ব্রাদার্সের ২৬২ স্কোরকে যথেষ্ট মনে হয়নি কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সামনে। মাসাকাদজা এক প্রান্ত আগলে রেখে দিয়েছেন নির্ভরতা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৮ম সেঞ্চুরিটি (১০৫ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ১১১) আবার তার চলমান প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে দ্বিতীয়। প্রথম জুটির ৫৬, তৃতীয় জুটির ১২২এ লক্ষ্যটা সহজই ছিল কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের। শেষ ৩০ বলে ২৫ রানের টার্গেট, তাও আবার হাতে ৭ উইকেট। এমন সুবিধাজনক পরিস্থিতি থেকে ম্যাচের চাকা ঘুরেছে। বাঁ হাতি স্পিনার নাবিল সামাদের কাছে (৪/৪৭) হারতে হয়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে। মাত্র ১৬ রানে কলাবাগান হারিয়েছে ৭ উইকেট! এই জয়ে সুপার লীগের হাতছানি দিচ্ছে ব্রাদার্সের (৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট)। অন্যদিকে ৫ম হারে (৪ পয়েন্ট) রেলিগেশন এড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।