মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ পরিমাণে শ‚ন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে বর্তমানে বিভিন্ন চাকরিতে প্রায় ১২ লাখ শ‚ন্যপদ রয়েছে। স¤প্রতি ব্রিটিশ সরকারের প্রকাশিত এ তথ্যে এমনটা দেখা যায়। করোনা মহামারী ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের পর দেশটির পরিষেবা খাতে বিপুল কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ সংকট বজায় থাকার ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরেই গ্যাস স্টেশনগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি অপেক্ষমাণ রয়েছে। চালকরা তাদের গাড়িতে জ্বালানি ভর্তি করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে সুপার মার্কেটগুলোতে মালামাল ও প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাকচালকের অভাবে ভুগছে যুক্তরাজ্য। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য মোতাবেক ব্রিটিশ অর্থনীতিজুড়ে এ সংকটের ব্যাপারটি উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে আপ্যায়ন ও পরিবহন খাতেও চালক সংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সা¤প্রতিক সময়গুলোতে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, শুধু ট্রাকচালক সংকটই নয় ব্রিটিশ অর্থনীতি কর্মী সংকটেও ভুগছে। এর কারণ হিসেবে অনেক বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে। তবে মূল কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা ব্রেক্সিটের ফলে বহু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের কর্মীদের যুক্তরাজ্য ত্যাগ ও নভেল করোনাভাইরাস মহামারীকে দায়ী করেছেন। দি ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট স্টাডিজ (আইইএস) ধারণা করছে যে, যুক্তরাজ্য বর্তমানে নয় লাখ কর্মীর সংকট অনুভব করছে। আইইএসের পরিচালক টনি উইলসন জানান, বৃদ্ধ ও তরুণদের অংশগ্রহণ কমে আসার ফলে কর্মী সংকটের এ চিত্র আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ও অসুস্থদের কর্মসংস্থান কমে আসার কারণেও এ সংকট ঘনীভ‚ত হচ্ছে। যদিও যুক্তরাজ্য বর্তমানে কর্মী সংকটে ভুগছে। কিন্তু পরিসংখ্যান এজেন্সির তথ্যানুসারে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে দেশটিতে বেতনভুক্ত কর্মীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ৯২ লাখে পৌঁছেছে। করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হতে শুরু করলে এমনটা দেখা যায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সা¤প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর জি৭ভুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৫ শতাংশ। আগামী বছর যুক্তরাজ্যে করোনা মহামারীকালীন ২০২০ সালে তার হারানো উৎপাদনের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ পুনরুদ্ধার হবে। তবে কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শ‚ন্যপদের ফলে মহামারীকালীন চাকরি হারানো কর্মীদের কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।