গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন হলেও বিশৃংখলার কারণে প্রবাসীদের দুর্ভোগ কমছে না। দীর্ঘ লাইনের কারণে পড়ছে নানামুখী ভোগান্তিতে। অসচেতনতা এবং জায়গা সংকুলানের অভাবে টেস্ট করাতে গিয়েই বাড়ছে সংক্রমণ ঝুঁকিও।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কিছুটা সমন্বয়হীনতা, দুর্বল মনিটরিং এবং ল্যাবগুলোর সক্ষমতার অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে শিগগিরই তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তারা।
বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বহির্গমন টার্মিনাল-১’এ প্রবেশ করতে আরটিপিসিআর ল্যাবের সামনে দীর্ঘ লাইন। কেউ কেউ লাইনে জায়গা না পেয়ে জটলা পাকিয়ে বসেছেন বিমানবন্দরের মেঝেতে। এদের অনেকেই আবার জানেন না কোথায় যাবেন কী করবেন। এমন পরিস্থিতিতে কেউ ফ্লাইট মিস করছেন, কেউ আবার অনিশ্চিত যাত্রায় বিভ্রান্ত হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। কক্সবাজার থেকে আসা সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী এক যাত্রী বলেন- ‘কক্সবাজার থেকে অনেক কষ্ট করে ঢাকায় আসছি। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে। জানি না আদৌ ফ্লাইটে উঠতে পারবো কিনা।’ করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে অপেক্ষারত সাইফুল ইসলাম নামে দুবাইগামি এক যাত্রী বলেন- ‘এঁরা একবার বলে এখান থেকে একটা পেপার নিয়ে আসো, আরেকবার বলে ওখানে সিল মেরে আনো। আবার বলে মন্ত্রণালয় থেকে কাগজ নিয়ে আসো। তাদের কথা শুনতে গিয়ে কেবলই ঘুরপাক খাচ্ছি।’
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আরটিপিসিআর ল্যাবগুলো নিজেদের সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা সংগ্রহ করায় সময়মতো রিপোর্টও দিতে পারছে না। ফলে ফ্লাইট মিস করছেন অনেকে। তবে যাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার অভাবও রয়েছে। অনেকে দেরি করে বিমানবন্দরে আসছেন। আবার অনেকে কোন তথ্য না জেনেই ভুল প্রক্রিয়ায় ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করছেন। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাতে নয়, বরং অন্য কোন দেশে যাবেন তাদের আরটিপিসিআর টেস্টের দরকার নেই, তারাও এসে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে জানছেন তাদের টেস্টের দরকার নেই। তবে অনেক যাত্রী বলছেন, আরব আমিরাত প্রথম চেয়েছিল র্যাপিড টেস্ট। কিন্তুু বাংলাদেশ এখন তা করতে পারছে না। র্যাপিড টেস্ট করতে পারলে সমস্যা অনেকটা লাঘব হতো।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান বলেন, "আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোসহ ছয়টি আরপিসিআর ল্যাবের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করি। সেই সমন্বয় সভায় আমাদের টেকিনিক্যাল কমিটি এবং মনিটরিং কমিটিও ছিল। সবার পক্ষ থেকে একটি কথা-ই বলা হয়েছে- তারা যেন এই যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানে। কিন্তু বাস্তবে তারা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে না।" তিনি বলেন, "আমি নিজে গিয়ে দেখিয়ে দিয়ে আসছি কীভাবে যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যারা পিসিআর ল্যাবে আছেন তারা যদি আরেকটু দায়িত্ববান হন, আরো কিছু জনবল নিয়োগ দেন এবং মনিটরিং কমিটি যদি তাদের মনিটরিং আরো বাড়ায় তাহলে খুব শিগগির শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।