পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার খুঁজতে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি কীভাবে হবে, তা-ও এই গবেষণা উঠে আসবে। এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে পুলিশের যেসব সদস্য আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের বিস্তারিত এবং এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গবেষণা করে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে না। এ জন্য গবেষণার মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে, সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের সচেতন হতে হবে।
গবেষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে পুলিশের গবেষণা ও উন্নয়ন সেল গবেষণা করছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ বলেন, বেশির ভাগ আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। আগে থেকে সঠিক ব্যবস্থা নিলে আত্মহত্যার এই প্রবণতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পুলিশের গবেষণায় আত্মহত্যার কারণগুলো উঠে এলে সেই অনুযায়ী বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিকভাবে দক্ষ ও ইতিবাচক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে পুলিশের চারজন সদস্য আত্মহত্যা করেন। তাঁরা তুলনামূলকভাবে পুলিশের তরুণ সদস্য ছিলেন। বয়স ২২ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। পরিবার থেকে দূরে থাকা, অতিরিক্ত ডিউটি, ছুটি কিংবা পদোন্নতি না পাওয়ায় মানসিক হতাশা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও সহকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।