গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দিন দিন রাজধানীতে টিসিবি ট্রাকের সামনে মধ্যবিত্তশ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক নারী কোলের বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে বাজারে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখানে আটা-তেল ও পেয়াজের দাম কিছুটা কম পাওয়া যায় তাই দাঁড়িয়ে থাকে। তীব্র রোদে পুড়ে অনেককে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভর দুপুর। রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় টিসিবির ট্রাকের পণ্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আলমগীর হোসেন। কড়া রোদ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে কিনলেন দুই লিটার তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ডাল। তিনি জানান, তেলের দাম বেড়েই চলছে। বাজারে এক লিটার তেল কিনতে দেড়শ টাকা লাগে। এখানে দুই লিটারের তেলের বোতল দুইশ টাকা নেয়, বাজারের চেয়ে ১০০ টাকা কম-তাই লাইনে দাঁড়িয়ে কিনলাম।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আক্ষেপ প্রকাশ করে আলমগীর হোসেন জানান, আমি মতিঝিল ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করি। লকডাউনে ব্যবসা একেবারে বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে কিন্তু আগের মতো আয় নেই। দোকান ভাড়া ও খরচ বাদ দিয়ে দিনে ৪০০/৫০০ টাকার মতো থাকে। বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার চালাতে হয়। ছেলে-মেয়েসহ পাঁচ জনের পরিবার।
প্রতিদিন সংসারে কমপক্ষে দেড় কেজি চাল লাগে। এখন চাল কিনতেই ৯০ টাকা লেগে যায়। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তেল দেড়শ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা। মাছ-মাংসের কথা বলে লাভ নেই। সব জিনিসের দাম বেশি। প্রতিদিন খাবারেই ৩০০/৪০০ টাকা লেগে যায়। কীভাবে যে চলছি আল্লাহ ভালো জানে।
শুধু আলমগীর নয়, বাজারে তেল-পেঁয়াজের লাগামহীন দামের কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের হাজারো মানুষ এখন টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলে ন্যায্যমূল্যে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, চিনি ও ডাল প্রতিকেজি ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
ফকিরাপুল এলাকায় টিসিবির ট্রাকের পণ্য বিক্রেতা তানভীর জানান, বাজারে তেল-পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন পণ্যের অনেক চাহিদা। সব জায়গায়ই মানুষের লাইন। এক সময় পণ্য নিয়ে বসে থাকতে হতো। এখন যত পণ্যই আনি, তিন চার ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপরও অনেকে পণ্য পায় না। আজকে ৪০০ লিটার তেল পাইছি। তার মানে ২০০ জন নিতে পারবে। এর বেশি দেওয়া সম্ভব না।
১০০ টাকা বাঁচাতে খরতাপে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা
অনলাইন ডেস্ক : দিন দিন রাজধানীতে টিসিবি ট্রাকের সামনে মধ্যবিত্তশ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক নারী কোলের বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে বাজারে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এখানে আটা-তেল ও পেয়াজের দাম কিছুটা কম পাওয়া যায় তাই দাঁড়িয়ে যাথা। তীব্র রোদে পুড়ে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ভর দুপুর। রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় টিসিবির ট্রাকের পণ্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আলমগীর হোসেন। কড়া রোদ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে কিনলেন দুই লিটার তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ডাল। তিনি জানান, তেলের দাম বেড়েই চলছে। বাজারে এক লিটার তেল কিনতে দেড়শ টাকা লাগে। এখানে দুই লিটারের তেলের বোতল দুইশ টাকা নেয়, বাজারের চেয়ে ১০০ টাকা কম-তাই লাইনে দাঁড়িয়ে কিনলাম।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আক্ষেপ প্রকাশ করে আলমগীর হোসেন জানান, আমি মতিঝিল ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করি। লকডাউনে ব্যবসা একেবারে বন্ধ ছিল। এখন চালু হয়েছে কিন্তু আগের মতো আয় নেই। দোকান ভাড়া ও খরচ বাদ দিয়ে দিনে ৪০০/৫০০ টাকার মতো থাকে। বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার চালাতে হয়। ছেলে-মেয়েসহ পাঁচ জনের পরিবার।
প্রতিদিন সংসারে কমপক্ষে দেড় কেজি চাল লাগে। এখন চাল কিনতেই ৯০ টাকা লেগে যায়। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। তেল দেড়শ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা। মাছ-মাংসের কথা বলে লাভ নেই। সব জিনিসের দাম বেশি। প্রতিদিন খাবারেই ৩০০/৪০০ টাকা লেগে যায়। কীভাবে যে চলছি আল্লাহ ভালো জানে।
শুধু আলমগীর নয়, বাজারে তেল-পেঁয়াজের লাগামহীন দামের কারণে নিম্ন ও মধ্য আয়ের হাজারো মানুষ এখন টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলে ন্যায্যমূল্যে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা, চিনি ও ডাল প্রতিকেজি ৫৫ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
ফকিরাপুল এলাকায় টিসিবির ট্রাকের পণ্য বিক্রেতা তানভীর জানান, বাজারে তেল-পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন পণ্যের অনেক চাহিদা। সব জায়গায়ই মানুষের লাইন। এক সময় পণ্য নিয়ে বসে থাকতে হতো। এখন যত পণ্যই আনি, তিন চার ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপরও অনেকে পণ্য পায় না। আজকে ৪০০ লিটার তেল পাইছি। তার মানে ২০০ জন নিতে পারবে। এর বেশি দেওয়া সম্ভব না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।